—প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যের মধ্যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ৫০,০০০ টাকা বা তার বেশি মূল্যের পণ্য পাঠাতে হলে ই-ওয়ে বিল বানাতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীকে। এর আগে ১ লক্ষ টাকা বা তার বেশি মূ্ল্যের পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে তা লাগত। কর কর্তৃপক্ষের দাবি, এর ফলে পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা বাড়বে। তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, নতুন ব্যবস্থায় হয়রানি বাড়বে ছোট ব্যবসায়ীদের। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে সংশোধিত ব্যবস্থা চালু হবে।
জিএসটি ব্যবস্থায় পণ্য পরিবহণের সময়ে সংশ্লিষ্ট বিল বা ইনভয়েসের জন্য ই-ওয়ে বিল লাগে। তাতে উল্লেখ থাকে পণ্যের দাম, ওজন, গন্তব্য, সংশ্লিষ্ট সংস্থা এবং পরিবহণের সময়-সহ বিভিন্ন তথ্য। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া সারা দেশে এমনিতে ৫০,০০০ টাকার পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে ই-ওয়ে বিল চালু আছে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের অনুরোধে এ রাজ্যে তা ১ লক্ষ টাকা রেখেছিল সরকার। পশ্চিমবঙ্গের জিএসটি কমিশনার খালেদ আনোয়ার বলেন, ‘‘ছোট ব্যবসায়ীদের সমস্যার কথা ভেবেই এর আগে রাজ্যে ন্যূনতম ১ লক্ষ টাকার পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে ই-ওয়ে বিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। কিন্তু এখন বিষয়টি প্রায় সকলেই বুঝে নিয়েছেন।’’
তবে কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনসের সভাপতি সুশীল পোদ্দার বলেন, ‘‘নতুন ব্যবস্থায় ব্যবসা পরিচালনার খরচ বাড়বে। কারণ, ই-ওয়ে বিল বানানোর জন্য বহু ব্যবসায়ীকেই আলাদা লোক রাখতে হবে। জিএসটি কর্তৃপক্ষ সংগঠিত ক্ষেত্রের ব্যবসায়ীদের উপরেই চাপ বাড়িয়ে চলেছেন। অসংগঠিত ক্ষেত্রকে ছেড়ে রাখা হয়েছে। আমরা নতুন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে জিএসটি কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেব।’’