—প্রতীকী চিত্র।
ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি যাতে বকেয়া ঋণের টাকা উদ্ধার করতে পারে, সে জন্য তৈরি হয়েছিল ডেট রিকভারি ট্রাইবুনাল (ডিআরটি) এবং সিকিউরিটাইজ়েশন অ্যান্ড রিকনস্ট্রাকশন অব ফিনান্সিয়াল অ্যাসেটস অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট অব সিকিউরিটি ইন্টারেস্ট (সারফেসি) আইন। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, দু’টিরই ক্ষমতা সীমিত। যে কারণে কেন্দ্র দেউলিয়া আইন (আইবিসি) ও উদ্ধার প্রক্রিয়া চালাতে দেউলিয়া আদালত (এনসিএলটি) আনে। হালে প্রশ্নের মুখে পড়েছে আইবিসি-র কার্যকারিতা। সূত্রের খবর, এই অবস্থায় বকেয়া ঋণ আদায়ে গতি ও স্বচ্ছতা আনতে ডিআরটি ও সারফেসি আইন সংশোধনে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। যাতে সেগুলির আরও কার্যকরী হয়ে ওঠে। এ জন্য তৈরি হয়েছে কমিটি।
অনুৎপাদক সম্পদ হিসাবে চিহ্নিত অনাদায়ি ঋণ নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে অর্থ মন্ত্রক। তার পরেই গড়ে কমিটি। সূত্র জানাচ্ছে, ঝক্কিহীন ভাবে দ্রুত বকেয়া উদ্ধারের পথ তৈরিই পুরনো আইন বদলের লক্ষ্য। এর আওতায় ই-বিজ্ঞপ্তিকে আইনি বৈধতা দেওয়ার ধারা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে ব্যাঙ্কগুলি বকেয়া নিয়ে এসএমএস ও ই-মেল পাঠালে, তা নোটিস ধরা হয়।
উল্লেখ্য, বকেয়া উদ্ধারের লক্ষ্যে ডিআরটি তৈরি হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। ২০০২-এ আসে সারফেসি। এতে ব্যাঙ্কগুলিকে বন্ধকি সম্পত্তির দখল নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়। আর দেউলিয়া আইন চালুর সময় কেন্দ্র বলেছিল, বকেয়া ঋণ উদ্ধারের আইনগুলি তেমন কার্যকর না হওয়াই এটি আনার কারণ।