পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে হাজারো ‘দুর্ভোগে’র কথা তুলে ধরে তাতে টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাইয়ের হস্তক্ষেপের আর্জি জানাল দেশের টেলিকম শিল্প। সেই তালিকায় এই মুহূর্তে তাদের অন্যতম মাথাব্যথার কারণ হিসেবে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে ফোন করা সুযোগের বিষয়টি বা পরিকাঠামো বাড়ানোর সমস্যা যেমন রয়েছে, তেমনই আছে করের হার কমানোর মতো দাবি। টেলি সংস্থাগুলির দাবি, ওই সব সমস্যায় ভুগে বিস্তর ক্ষতি হচ্ছে তাদের ব্যবসার।
মঙ্গলবার টেলিকম সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকের পরে ট্রাই চেয়ারম্যান আর এস শর্মা বলেন, ‘‘এক দেশ এক লাইসেন্স, ওভার দ্য টপ (ওটিটি) পরিষেবা, পরিকাঠামো সংক্রান্ত সমস্যা, জিএসটির হার সরলিকরণের মতো প্রায় ৬-৭টি বিষয় রয়েছে, যে সব ক্ষেত্রে ওই চায় এ বছর ট্রাই হস্তক্ষেপ করুক।’’
বস্তুত, হোয়াটসঅ্যাপ, স্কাইপ, ভাইবার, গুগল-ডুয়োর মতো যে সব অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ফোন করা বা বার্তা পাঠানোর সুযোগ দেয় গ্রাহককে, তারা ট্রাইয়ের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকায় আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে টেলি শিল্প। যুক্তি দিয়েছে, এই সব পরিষেবা দেওয়ার জন্য তাদের লাইসেন্স নিতে হয়। বিপুল দামে স্পেকট্রাম কিনতে হয়। মানতে হয় আরও নানা শর্ত। অথচ একই পরিষেবা দিতে গিয়ে নেট ভিত্তিক হোয়াটসঅ্যাপের মতো সংস্থাগুলির সে সব মানার কোনও দায় নেই। বরং সে ক্ষেত্রে টেলি সংস্থারই পরিকাঠামো ব্যবহার করার দরুন মূল পরিষেবার গতি ব্যাহত হয় বলে অভিযোগ।
শর্মা জানান, এ দিন স্পেকট্রামের জন্য নির্দিষ্ট নীতি তৈরির দাবিও জানিয়েছে শিল্প। যাতে কোন ব্যান্ডের স্পেকট্রামের নিলাম হবে, সে সম্পর্কে আগাম ধারণা পেতে পারে তারা।