আর্থিক বছর শেষ হতে বাকি মাত্র তিন দিন। অথচ লক্ষ্যমাত্রার থেকে এখনও প্রায় ১৫% পেছনে আয়কর আদায়। এই ঘাটতিকে উদ্বেগজনক আখ্যা দিয়ে ইতিমধ্যেই দেশের সমস্ত প্রিন্সিপাল চিফ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে প্রত্যক্ষ কর পর্ষদ। যদিও সরকারের দাবি, ‘স্লগ ওভারে’ কর সংগ্রহে ঝাঁপাবে তারা। ব্যাঙ্কগুলিকেও বলা হয়েছে, আমানতে সুদের উপর টিডিএস এক মাস আগেই কেটে তা ৩১ মার্চের মধ্যে আয়কর দফতরে জমা দিতে। সাধারণত যা কাটা হয় এপ্রিলে। তবু বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, ঘাটতি পুরোটা বুজিয়ে ফেলা সম্ভব হয়তো হবে না। তা থেকেই যাবে ৫০-৬০ হাজার কোটি টাকার মতো।
সেই কারণেই প্রশ্ন উঠছে, সাধারণত বৃদ্ধি চাঙ্গা থাকলে কর আদায় ভাল হয়। তা হলে ৭% বৃদ্ধির দেশে তার লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে এত ঘাম ছোটাতে হচ্ছে কেন সরকারকে? আয়কর বিশেষজ্ঞ নারায়ন জৈনও বলছেন, ‘‘অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবসার আয় আগের থেকে কমেছে। অনেকের অভিযোগ, নোটবন্দি এবং জিএসটির জন্য যে ক্ষতি হয়েছে তা এখনও পূরণ করা সম্ভব হয়নি।’’ তা ছাড়া, নোটবন্দির পরে কেন্দ্রের দাবি ছিল, এর জেরে বিস্তৃত হবে করের জাল। বাড়বে আদায়। প্রশ্ন, তা হলে দশা বেহাল কেন? রাজ্যেও ছবি একই। ঘাটতি প্রায় ১৪%।
কলকাতার আয়কর দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘আরও কিছু আদায় হবে, কিন্তু ঘাটতি পূরণ নিয়ে সংশয় থাকছেই।’’
খতিয়ান
• প্রত্যক্ষ করের লক্ষ্যমাত্রা ১২,০০,০০০ কোটি টাকা।
• ২৩ মার্চ পর্যন্ত সংগ্রহ ১০,২১,২৫১ কোটি।
• ঘাটতি প্রায় ১৫%। অর্থবর্ষ শেষ হতে আর তিন দিন মাত্র বাকি। লক্ষ্য পূরণের জন্য সংগ্রহ করতে হবে আরও ১,৭৮,৭৪৯ কোটি।
• আয়কর সূত্রে দাবি, সম্ভাব্য ঘাটতি দাঁড়াতে পারে ৫০,০০০-৬০,০০০ কোটি টাকা।
প্রশ্ন যেখানে
• দেশে বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের উপরে। তবে আদায় এমন বেহাল কেন?
• কেন্দ্রের দাবি ছিল, নোটবন্দির পরে আরও বেশি আয়করদাতা করের জালে আসবেন। বাড়বে কর আদায়। তা হলে?