উত্তরপ্রদেশের পরে তামিলনাড়ু। পশ্চিমবঙ্গের চর্মশিল্পে পুঁজি ঢালতে চায় চেন্নাইয়ের পাঁচটি প্রথম সারির সংস্থাও। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, চলতি মাসের মাঝামাঝিই রাজ্যের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করতে শহরে আসছে তাদের প্রতিনিধিদল। নেতৃত্বে থাকার কথা কাউন্সিল ফর লেদার এক্সপোর্টসের ভাইস চেয়ারম্যান পি আর আকিল আহমেদের।
এর আগে সুপারহাউস, রহমান ইন্ডাস্ট্রিজ ও মডেল ট্যানার্সের মতো উত্তরপ্রদেশের ২৫টি সংস্থাও রাজ্যের চর্মশিল্পে লগ্নির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সব মিলিয়ে যাদের ব্যবসা ২,৫০০ কোটি টাকার বেশি। গড়ে ৮০ কোটি টাকা করে পুঁজি ঢালবে তারা।
রাজ্যের কাছে চেন্নাইয়ের সংস্থাগুলির চাহিদা ২ লক্ষ বর্গফুট জায়গা। উত্তরপ্রদেশের সংস্থাগুলির মতোই এদের জন্যও প্রাথমিক ভাবে বানতলায় জায়গা দেওয়ার কথাই ভাবা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র চর্মনগরীটি রয়েছে যেখানে।
•তামিলনাড়ুর সমস্যার তালিকায় রয়েছে: পরিবেশ দূষণ, গবাদি পশুহত্যা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা, জল ও বিদ্যুতের ঘাটতি
• কাঁচা চামড়ায় টান পড়ায় ভুগছে ৭২৫টি ট্যানারি
•ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ভরসা তাই ভিন্ রাজ্য
•পশ্চিমবঙ্গে পুঁজি ঢালতে আগ্রহ দেখিয়েছে পাঁচ সংস্থা
•সেপ্টেম্বরেই রাজ্যের সঙ্গে কথা বলতে কলকাতায় আসছে তাদের প্রতিনিধিদল
জুনে লগ্নি টানতে চেন্নাই গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের পদস্থ আধিকারিকদের একটি দল। তার পরে মাস দুয়েক হল এখানে লগ্নির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়া শুরু করে তামিলনাড়ুর সংস্থাগুলি। সংশ্লিষ্ট শিল্পমহলের দাবি, প্রাথমিক ভাবে লগ্নির আগ্রহ প্রকাশ করেছে ফরিদা গোষ্ঠী এবং কেএইচ গোষ্ঠীর মতো পণ্য প্রস্তুতকারকেরা। বিশ্ব বাজারে চামড়ার ব্যাগ, জুতো, দস্তানা-সহ বিভিন্ন জিনিস এবং তৈরি চামড়া রফতানি করে ফরিদা, কেএইচ। ফরিদার ন’টি সংস্থা। পণ্য রফতানি করে ৪০টি দেশে। অন্য দিকে, কে এইচ-এর আন্তর্জাতিক বরাত সামলান প্রায় ১৫,০০০ কর্মী।
উত্তরপ্রদেশের মতো কাঁচামালের অভাবে মার খাচ্ছে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যটির চর্মশিল্পও। পরিবেশ দূষণ ও গবাদি পশু হত্যা সংক্রান্ত সরকারি নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি জল ও বিদ্যুতের ঘাটতি চেন্নাইয়ে চর্মশিল্পের সামনে বড় সমস্যা। অথচ দেশের ১৫৪৮টি ট্যানারির ৭২৫টিই রয়েছে তামিলনাড়ুতে। কাঁচা চামড়ার সরবরাহে টান পড়ায় মাথায় হাত তাদের। তাই ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ভিন্ রাজ্যে লগ্নির পরিকল্পনা। যেখানে পশ্চিমবঙ্গ গুরুত্ব পাচ্ছে বলে দাবি।