ব্যাঙ্ক ঋণের চাহিদায় টান কবুল

শুক্রবার মুম্বইয়ে স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার বলেন, ‘‘এখন ঋণের চাহিদা কম থাকায় আমানতে সুদ গুনতে যে ব্যয় হয়, ধারে সুদ বাবদ আয়ে তাকে ছাপানোর ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৯ ০১:৪২
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

বাজারে কেনাকাটায় টান। লগ্নিতে ভাটা। দেশের অর্থনীতি সম্পর্কে এই উদ্বেগ উস্কে দিয়ে এ বার ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার চাহিদায় টানের কথা কবুল করল স্টেট ব্যাঙ্ক। সেই সঙ্গে তুলল গাড়ি শিল্পের বেহাল দশা নিয়ে ব্যাঙ্কগুলির মাথাব্যথার প্রসঙ্গ। ইতিমধ্যেই যা নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছে প্রতিদ্বন্দ্বী এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কও।

Advertisement

শুক্রবার মুম্বইয়ে স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার বলেন, ‘‘এখন ঋণের চাহিদা কম থাকায় আমানতে সুদ গুনতে যে ব্যয় হয়, ধারে সুদ বাবদ আয়ে তাকে ছাপানোর ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিয়েছে।’’

তবে একই সঙ্গে তিনি জানান, চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে আগের বারের লোকসানকে পিছনে ফেলে মুনাফায় ফিরতে পেরেছে দেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে স্টেট ব্যাঙ্কের নিট মুনাফার অঙ্ক ২,৩১২.০২ কোটি টাকা। যেখানে আগের বছর একই সময়ে লোকসান হয়েছিল ৪,৮৭৫.৮৫ কোটি। কুমারের দাবি, পুরনো অনুৎপাদক সম্পদ খাতে আর্থিক সংস্থান কমা এর অন্যতম কারণ। মোট ঋণের সাপেক্ষে ওই সম্পদের নিট পরিমাণ ৩.০৭%। আগের বার যা ছিল ৪.৮৪%। ফলে ওই খাতে আর্থিক সংস্থানও আগের বারের থেকে ৫,৯১৫ কোটি কমে হয়েছে ১০,৯৩৪ কোটি। সঙ্গে বেড়েছে সুদ বাবদ আয়।

Advertisement

তবে অনুৎপাদক সম্পদে সংস্থানের প্রয়োজন কমলেও, নতুন করে অনাদায়ি ঋণ তৈরি হওয়ার সমস্যা থেকে এখনও মুক্ত হয়নি স্টেট ব্যাঙ্ক। আলোচ্য ত্রৈমাসিকেই নতুন করে অনুৎপাদক সম্পদ সৃষ্টি হয়েছে ১৬,২১২ কোটি টাকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement