প্রতীকী চিত্র।
রেপো রেট কমলেও তার সুবিধা গ্রাহকদের কাছে পুরোপুরি না-পৌঁছনো এবং ঋণের উঁচু সুদের জন্য অনেক সময়েই বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির দিকে অভিযোগের আঙুল ওঠে। স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান রজনীশ কুমারের ব্যাখ্যা, ঋণে সুদ কমাতে হলে জমার সুদও কমাতে হয়। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের পরে তা সম্ভব নয়। কারণ, ভারতে সামাজিক প্রকল্পের অভাব রয়েছে। আর বিপুল সংখ্যক বয়স্ক মানুষ আমানত প্রকল্পের উপরেই নির্ভর করেন। পাশাপাশি তাঁর আরও বক্তব্য, এ দেশে ঋণ খেলাপ যথেষ্ট বেশি। তাই ঝুঁকি কমাতে ঋণেও সুদের হার উঁচু রাখতে হয়।
শনিবার বণিকসভা ফিকির অনুষ্ঠানে কুমার জানান, এখন ব্যাঙ্কিং শিল্পের দেওয়া ঋণের অঙ্ক ৯৬ লক্ষ কোটি টাকা। পাঁচ বছরে দেশকে ৫ লক্ষ ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করতে হলে ঋণের অঙ্ক অন্তত এর দ্বিগুণ হতে হবে। এই প্রেক্ষিতেই শিল্পকে আরও ঋণ নেওয়ার আবেদন জানান তিনি। রজনীশের দাবি, চলতি অর্থবর্ষের শেষের দিকে ব্যাঙ্কগুলির অনুৎপাদক সম্পদের পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হবে। তবে নগদের সমস্যায় জর্জরিত টেলিকম শিল্পকে স্পেকট্রাম কিনতে ঋণ দেওয়ার ঝুঁকি যথেষ্ট বলে স্পষ্ট জানান তিনি। মার্চ-এপ্রিলে স্পেকট্রাম নিলাম হতে পারে।