গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।
শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে শেয়ারদর ‘ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে’ দেখানোর অভিযোগ তুলেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। সেই সংস্থাই শনিবার তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে লিখেছে, “আদানিরা যে টাকা সরিয়েছে তাতে অংশীদারিত্ব রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সেবির প্রধানের।”
শনিবার সকালেই হিন্ডেনবার্গ ইঙ্গিত দিয়েছিল, তারা এমন একটি তথ্য প্রকাশ্যে আনতে চলেছে, যা ‘বিস্ফোরক’ হবে। শনিবার বেশি রাতে হিন্ডেনবার্গ তাদের সংস্থার হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করতেই জাতীয় রাজনীতিতে কার্যত আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
শনিবার রাতেই সেবি প্রধান মাধবী পুরী বুচের বিরুদ্ধে খড়্গহস্তে নেমে পড়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। মহুয়া মৈত্র থেকে সুস্মিতা দেব, সাকেত গোখলে— সকলেই সেবির বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেছেন। তৃণমূলের নেতারা এ প্রশ্নও তুলছেন, বুথফেরত সমীক্ষায় দুর্নীতি সংক্রান্ত যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, সেবির কাছে তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছিল, এই জন্যই কি তারা তদন্তের পথে অগ্রসর হয়নি?
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের প্রাক্-পর্বে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে তোলপাড় হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং শিল্পপতি আদানির ‘সখ্য’ তুলে ধরে বিরোধীরা আভিযোগ করেছিল, সবটাই হচ্ছে বোঝাপড়ার ভিত্তিতে। পাল্টা বিজেপির তরফে হিন্ডেনবার্গের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। পদ্মশিবিরের কেউ কেউ এ-ও অভিযোগ করেছিলেন, আন্তর্জাতিক পরিসরে ভারতের ‘শক্র’ হিসাবে পরিচিত দেশগুলির অর্থসাহায্যে হিন্ডেনবার্গ এই ‘ভুয়ো’ রিপোর্ট তৈরি করেছে এবং ভারতের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে। লোকসভা ভোট মিটে যাওয়ার পর তিন মাস কাটার আগেই ফের হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট নিয়ে আন্দোলিত জাতীয় রাজনীতি।