গো ফার্স্ট। —ফাইল চিত্র।
কম খরচের উড়ান সংস্থা হিসেবে পরিচিত গো ফার্স্ট গত বছরের ২ মে আচমকাই নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছিল। ৩ মে থেকে তাদের পরিষেবা বন্ধ হয়। তার পরে এক বছর পার হতে চললেও জল বিশেষ গড়ায়নি। সূত্রের খবর, পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে চলতি সপ্তাহেই বৈঠকে বসতে চলেছে ঋণদাতারা। সংস্থা গুটিয়ে সম্পত্তি বিক্রি করে পাওনা আদায়ের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না তারা। কারণ, এখনও পর্যন্ত গো ফার্স্টকে কেনার জন্য যে দু’টি দরপত্র জমা পড়েছে, তার একটিও পছন্দ হয়নি তাদের।
সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অব বরোদা, আইডিবিআই ব্যাঙ্ক এবং ডয়েশ ব্যাঙ্কের কাছে প্রায় ৬৫২১ কোটি টাকার ঋণ বকেয়া রেখে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে গো ফার্স্ট। যে সমস্ত সংস্থা গো ফার্স্টকে বিমান ভাড়া দিয়েছিল, সম্প্রতি তাদের বিমান ফিরিয়ে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। একটি ব্যাঙ্কের প্রতিনিধির কথায়, ‘‘আদালতের এই নির্দেশের পরে উড়ান সংস্থাটির আর বিশেষ মূল্য থাকে না। তার পুনরুজ্জীবনের আশা ক্ষীণ।’’ গো ফার্স্টের রেজ়লিউশন প্রফেশনাল অবশ্য এ ব্যাপারে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের পাঠানো ই-মেলের কোনও উত্তর দেননি। এরই মধ্যে সংস্থাটির ভবিষ্যৎ নিয়ে সোমবার বৈঠক করে ঋণদাতাদের কমিটি। বৃহস্পতিবার আরও একটি বৈঠক হওয়ার কথা বলে দু’টি সূত্র জানিয়েছে।
গো ফার্স্টকে কেনার জন্য এখনও পর্যন্ত দু’টি দরপত্র জমা পড়েছে। একটি স্পাইসজেটের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অজয় সিংহ ও বিজ়ি বি এয়ারওয়েজ়ের তরফে। অন্যটি পেশ করেছে শারজার স্কাই ওয়ান।