ফাইল চিত্র।
ভারতে বিমান পরিবহণ ব্যবসা থেকে টনি ফার্নান্ডেজ সরতে চান বলে জল্পনা বাড়ছে সংশ্লিষ্ট শিল্পে।
২০১৪ সালে টাটাদের সঙ্গে মিলে এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া তৈরি করেন মালয়েশিয়ার এই ধনকুবের। যার ৪৯% শেয়ার রয়েছে টনির সংস্থার হাতে। তার আগে থেকেই দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার বহু দেশকে ঘাঁটি করে আন্তর্জাতিক উড়ান চালায় তাঁর সংস্থা এয়ার এশিয়া। বিশ্বে সস্তার বিমান সংস্থার তালিকায় উপরের দিকেই রয়েছে যার নাম। এ দিকে, গত ক’বছর ধরে ভারতের প্রায় সব বিমান সংস্থাই লোকসানের শিকার। শিল্প মহলের দাবি, যে হারে জ্বালানি, বিমানবন্দরের চার্জ, কর্মীদের বেতন ও আনুষাঙ্গিক খরচ বেড়েছে, সেই তুলনায় ভাড়া বাড়েনি। সূত্রের খবর, ২০১৯ সালের শেষ চার মাসে প্রায় ১২৩ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়ারও। বেঙ্গালুরুতে ঘাঁটি থাকা যে সংস্থার হাতে রয়েছে ৩০টি এয়ারবাস ৩২০ বিমান। বাজারে গুঞ্জন, তার পর থেকেই ভারত ছাড়ার ভাবনা টনির।
উল্লেখ্য, টনির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পরের বছরই সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বিস্তারা তৈরি করে টাটারা। অনেকের মতে, সেটাও তাঁর পছন্দ হয়নি। এ নিয়ে টাটা সন্সের সঙ্গে বিরোধও বাধে। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া সস্তার উড়ান সংস্থা। আর বিস্তারা পূর্ণ পরিষেবার সংস্থা। ফলে, ব্যবসার দিক থেকে তাদের মধ্যে সংঘাত থাকার কথা নয়। তাই এটা তাঁর এই ভাবনার কারণ নয় বলেও তাঁদের দাবি।
তবে এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া কর্মীদের বড় অংশের মতে, টনি কর্মীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। ভারতে সংস্থায় প্রায় দু’হাজার কর্মী রয়েছেন। এত জনের চাকরি যাওয়ার আগে অন্তত দু’বার ভেবে দেখবেন টনি ফার্নান্ডেজ।