ঋণনীতির আগে সতর্ক শেয়ার বাজার

অনিশ্চিত বাজারের স্বাভাবিক নিয়ম মেনে এখন শেয়ার কেনার পরে সামান্য কিছু বাড়লেই তা বিক্রি করে মুনাফার টাকা তুলে নিচ্ছেন লগ্নিকারীরা। এরই জেরে মঙ্গলবার প্রথমে বাজার অনেকটা উঠলেও পরের দিকে তা পড়ে যায়। যদিও দিনের শেষে সূচক আগের দিনের থেকে কিছুটা উপরেই ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:০৮
Share:

অনিশ্চিত বাজারের স্বাভাবিক নিয়ম মেনে এখন শেয়ার কেনার পরে সামান্য কিছু বাড়লেই তা বিক্রি করে মুনাফার টাকা তুলে নিচ্ছেন লগ্নিকারীরা। এরই জেরে মঙ্গলবার প্রথমে বাজার অনেকটা উঠলেও পরের দিকে তা পড়ে যায়। যদিও দিনের শেষে সূচক আগের দিনের থেকে কিছুটা উপরেই ছিল। টাকার দামও এ দিন ৩১ পয়সা বেড়েছে, যার জেরে দিনের শেষে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৬৭.৯০ টাকা।

Advertisement

এ দিন বাজার বন্ধের সময়ে সেনসেক্স দাঁড়ায় ২৬,৩৯২.৭৬ অঙ্কে। যা আগের দিনের থেকে ৪৩.৬৬ পয়েন্ট বেশি। পাশাপাশি নিফ্‌টি বেড়েছে ১৪.৪০ পয়েন্ট। দিনের শেষে তা থিতু হয় ৮১৪৩.১৫ অঙ্কে।

এখন সকলের চোখই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতির সিদ্ধান্তের দিকে। মঙ্গলবারই শীর্ষ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছে। সুদ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে আজ। মূলধনী বাজার মহল অনেকটই নিশ্চিত যে, এ বার সুদ কমানোর পথে হাঁটবেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নতুন গভর্নর উর্জিত পটেল। তার আগে মঙ্গলবার বাজার ছিল সাবধানী।

Advertisement

তবে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকেই মনে করছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্টের বেশি কমানোর সম্ভাবনা তেমন নেই। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ব্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞ এবং ওম ক্যাপিটালের চেয়ারম্যান বি কে দত্ত বলেন, নোট বাতিলের জেরে ব্যাঙ্কের বা কেন্দ্রীয় সরকারের ঘরে নগদ টাকার জোগান দ্রুত বেড়েছে। কিন্তু অন্য দিকে সাধারণ মানুষের হাতে নগদ টাকার অভাব থাকায় কমেছে জিনিসপত্রের কাটতি বা ‘কনজাম্পশন’। যার ফলে আবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার কমার।

দত্তের বক্তব্য, নগদের জোগান বাড়লে সাধারণত দেশের অর্থনীতির উপর মূল্যবৃদ্ধির থাবা বসার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সুদের হার বাড়ানোর পথেই হেঁটে থাকে। কিন্তু বর্তমানে যেহেতু চাহিদা বা কনজাম্পশন বাড়ানো জরুরি, তাই সুলভে ব্যাঙ্কঋণ পাওয়ার রাস্তা প্রশস্ত করতে এ বার ঋণনীতির পর্যালোচনায় সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। তবে তার পরিমাণ ২৫ বেসিস পয়েন্টের বেশি না-হওয়ার সম্ভাবনাই দেখতে পাচ্ছেন দত্তের মতো ব্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞরা।

বন্ধ বিস্কুট কারখানা

নিজস্ব সংবাদদাতা: শিবরাত্রির সলতের মতো বিস্কুট তৈরির একটি মাত্র কারখানা চালু ছিল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের আগরপাড়ায়। অবশেষে সেখানেও কাজ বন্ধের নোটিস ঝোলালেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। এর ফলে প্রিয়া বিস্কুট কারখানার প্রায় ১২০ জন কর্মী কাজ হারালেন। ওই কারখানার ম্যানেজার এস কে বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিপুল আর্থিক ক্ষতি আর কোনও ভাবেই সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। তাই কারখানা বন্ধ করে দিতে হল।’’ তবে শ্রীরামপুরে প্রিয়া বিস্কুটের আর একটি কারখানা এখনও চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement