ফাইল ছবি
সপ্তাহের শুরুর পতনের ধাক্কা কাটিয়ে টানা তিন দিন উঠল শেয়ার বাজার। বৃহস্পতিবার সেনসেক্স উঠেছে ৩৮৪.৭২ পয়েন্ট। থেমেছে ৫৭,৩১৫.২৮ অঙ্কে। নিফ্টিও ১১৭.১৫ পয়েন্ট উঠে পেরিয়েছে ১৭,০০০-এর গণ্ডি। সব মিলিয়ে তিন দিনে সেনসেক্স উঠেছে ১৪৯৩.২৭ পয়েন্ট। এই ক’দিন বিএসই-র লগ্নিকারীরা ফিরে পেয়েছেন ৮.৫৮ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার সম্পদ।
আজ ডলারের সাপেক্ষে বেড়েছে টাকার দরও। প্রতি ডলার ২৮ পয়সা কমে হয়েছে ৭৫.২৬ টাকা। এ নিয়ে টানা ছ’দিন বাড়ল টাকার দর। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের হস্তক্ষেপ, আমদানিকারীদের ডলারের চাহিদা কম থাকা এবং রফতানিকারীরা বেশি করে তা বিক্রি করাই টাকার দামকে টেনে তুলেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে এ সপ্তাহে এখনও পর্যন্ত দর বেড়েছে ১.১%। গত ৩০ এপ্রিলের সপ্তাহের পরে যা সব চেয়ে বেশি উত্থান।
শেয়ার বাজার মহল বলছে, বেশি সংক্রামক হলেও, ডেল্টা স্ট্রেনের তুলনায় করোনার নতুন ওমিক্রন স্ট্রেনের তীব্রতা কম এবং এতে হাসপাতালে ভর্তির সম্ভানাও আগের চেয়ে কম, এই খবরই চাঙ্গা করে তুলেছে সূচককে। পাশাপাশি, আমেরিকার অর্থনীতির তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ২.৩% হারে বৃদ্ধিও প্রভাব ফেলেছে বিশ্ব বাজারে। যার ফলে উঠেছে ভারতের বাজার। তবে বিক্রির পরিমাণ আগের চেয়ে কমলেও, শেয়ার বিক্রেতার ভূমিকাই বজায় রেখেছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি।
এই পরিস্থিতিতে লগ্নিকারীদের বুঝেশুনে চলারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। রেলিগেয়ার ব্রোকিং-এর গবেষণা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট অজিত মিশ্রের মতে, সূচক উঠছে ঠিকই, কিন্তু তার মূল কারণ বিশ্ব বাজারের প্রভাব। দেশে কত দিন তা ওঠে দেখতে হবে।