একে অপরের বিপরীতে হেঁটে শুক্রবার পতন হল শেয়ার বাজারের এবং আরও বাড়ল ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম।
এ দিন সেনসেক্স পড়েছে ৩২৯.২৬ পয়েন্ট এবং নিফ্টি ১০৬.১০ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময় তারা থিতু হয় ২৬,২৩০.৬৬ এবং ৮,০৮৬.৮০ অঙ্কে।
তবে শেয়ার বাজার পড়লেও এই দিন টাকার দাম বেড়েছে। ডলারের সাপেক্ষে টাকা এই দিন ১৪ পয়সা বাড়ে। প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৬৮.২০ টাকা। চলতি সপ্তাহে টাকার দাম ২৬ পয়সা বেড়েছে।
দেশের বৃদ্ধির হার কমার পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধির হারও কমারও সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় আর্থিক বাজার মহলে আশার সৃষ্টি হয়েছে যে, আগামী সপ্তাহে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার ঋণনীতির পর্যালোচনায় সুদ কমানোর জন্য পদক্ষেপ করবে। তখন এ দেশে বিদেশি আর্থিক সংস্থার লগ্নি বাড়লে, টাকার দর বাড়ার সম্ভাবনা।
এ দিকে, দেশে নোট বাতিলের ফলে সমস্যা তো রয়েছেই। তার উপর ইতালি ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকবে কি না, তা নিয়ে রবিবার সে দেশে গণভোট। ব্রিটেনের মতো ইতালিতেও গণভোটের রায় ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার বিপক্ষে যায় কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে ইউরোপের রাজনৈতিক এবং আর্থিক মহলে। যার বিরূপ প্রভাব পড়েছে ভারত সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শেয়ার বাজারে। এ দিন শেয়ার সূচকের পতনের পিছনে এই সব কারণের বিশেষ ভূমিকা ছিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ দিন শুধু ভারতের শেয়ার বাজারই নয়, পতন হয়েছে এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন শেয়ার সূচকের। এশিয়ার বাজারগুলির মধ্যে সিঙ্গাপুর, হংকং, জাপান দক্ষিণ কোরিয়া, চিন ইত্যাদি দেশের শেয়ার সূচক পড়েছে ০.৩১ শতাংশ থেকে ১.৩৭ শতাংশ।
ইউরোপের বিভিন্ন সূচকের মুখও এ দিন ছিল নীচের দিকে। ফ্রান্স, ব্রিটেন জার্মানির শেয়ারর সূচক ০.৯৩ শতাংশ থেকে ১.৩৩ শতাংশ পড়েছে। ভারতের শেয়ার বাজার পতনের আরও একটি কারণ হল বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির টানা শেয়ার বিক্রি। বৃহস্পতিবারও ওই সব সংস্থা ভারতের বাজারে ৪০২.৬২ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।