মূলধনী বাজারে বিদেশি লগ্নির পথ আরও প্রশস্ত করতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ ঘোষণা করল সেবি।
শুক্রবার পরিচালন পর্ষদের বৈঠকের পরে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রকের ঘোষণা, এ বার থেকে দেশের স্টক এবং কমোডিটি এক্সচেঞ্জের ১৫% পর্যন্ত শেয়ার কিনতে পারবে বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলি। এখন ওই ঊর্ধ্বসীমা ৫%। নথিভুক্ত নয়, এমন স্টক এক্সচেঞ্জে এর বাইরেও শেয়ার কেনার সুযোগ থাকবে তাদের। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই), বিএসই-র মতো শেয়ার কেনা-বেচার জায়গায় ইতিমধ্যেই টাকা ঢেলেছে বিভিন্ন বিদেশি আর্থিক সংস্থা। নতুন নিয়মে তাদের সেই সুযোগ আরও বাড়বে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা।
একই ভাবে, কর্পোরেট বন্ডে (ঋণপত্র) বিদেশি বিনিয়োগ আসার পথও এ দিন প্রশস্ত করেছে সেবি। জানিয়েছে, এ বার থেকে এ দেশে নিজেরাই তা কেনা-বেচা করতে পারবে বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলি। সরাসরি টাকা ঢালতে পারবে সেখানে। আগের মতো ব্রোকারদের সহায়তা নিতে হবে না। ভিন্ দেশের সভরেন (সরকারি) ওয়েলথ্ ফান্ড, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক, বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান এই সুবিধা পাবে। কিন্তু হেজ ফান্ড কিংবা ব্যক্তিগত লগ্নিকারী এই সুযোগ পাবেন না। এই সিদ্ধান্তের দৌলতে ঋণপত্রের বাজারে বিদেশি লগ্নি বাড়ার সম্ভাবনা। যদিও এর ফলে দেশীয় ব্রোকারেজ সংস্থাগুলির আয় কমবে বলেও আশঙ্কা অনেকের।
এ দিন সেবি জানিয়েছে, প্রথম বার বাজারে শেয়ার ছাড়ার সময় কর্মী-পিছু ৫ লক্ষ টাকার শেয়ার তুলে রাখতে পারবে কোনও সংস্থা। এখন ওই সীমা দু’লক্ষ। রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্টে লগ্নির শর্তও আরও শিথিল করার কথা জানিয়েছে সেবি। যেমন, এখনকার ১০ শতাংশের বদলে প্রথম ট্রাস্টকে কোনও নির্মীয়মান প্রকল্পে ২০% পর্যন্ত লগ্নির অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা।