বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে কর্পোরেট সংস্থা, সাম্প্রতিককালে একাধিক প্রতারণা ও জালিয়াতির সাক্ষী থেকেছে দেশ। এই পরিস্থিতিতে শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত সংস্থাগুলির হিসেবের খাতায় আরও কড়া নজরদারি চালাতে সরকারের কাছে বাড়তি ক্ষমতা চাইল সেবি। যাতে সমস্ত আর্থিক হিসেব-নিকেশের তথ্য নিজেদের আতসকাচের তলায় এনে আরও খুঁটিয়ে মিলিয়ে নিতে পারে তারা। জল বিপদসীমা পেরনোর আগেই ধরতে পারে লেনদেনের সময় শেয়ার বাজার-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে কোনও আইন ভাঙা হয়েছে কিনা। শুধু তা-ই নয়, অনিয়ম ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা প্রতারকের বিরুদ্ধে সরাসরি পদক্ষেপ করার জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষমতাও চেয়েছে বাজার নিয়ন্ত্রক।
শুধু ক্ষমতা বাড়ানোই নয়, জালিয়াতি বা অনিয়মে অভিযুক্ত সংস্থা বা ব্যক্তি মিথ্যে তথ্য দিলে, নথি-সহ বিভিন্ন তথ্য লুকোনোর চেষ্টা করলে, নষ্ট করলে বা তা নিয়ে কাউকে সতর্ক করে থাকলে, মোটা অঙ্কের জরিমানার প্রস্তাবও দিয়েছে সেবি। যাতে আইনি তদন্তকে প্রভাবিত করা না যায়। বর্তমানে সেবি ব্যবসায় অনিয়ম, প্রতারণা-সহ সীমিত কয়েকটি আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নজরদারি চালাতে পারে। সেই পরিধিই বাড়াতে চাইছে তারা।