সাংবাদিক বৈঠকে অজয় ত্যাগী। বুধবার মুম্বইয়ে। ছবি: পিটিআই।
লগ্নিকারীদের স্বার্থ রক্ষায় একগুচ্ছ সংস্কার ঘোষণা করল মূলধনী বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি।
বুধবার ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে পরিচালন পর্ষদের শেষ বৈঠকে শেয়ার বাজার ও নথিভুক্ত সংস্থার পরিচালনায় আরও কড়াকড়ি আনার কথা জানালেন চেয়ারম্যান অজয় ত্যাগী। যার মধ্যে রয়েছে দ্রুত শেয়ার লেনদেনের সুবিধা বাড়ানো, মিউচুয়াল ফান্ডের খরচ কমানো, নথিভুক্ত সংস্থার পরিচালনায় নিয়মের জাল আরও ছড়িয়ে দেওয়া ও বিধি ভাঙলে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা।
মূলধনী বাজার সংস্কারে উদয় কোটাকের নেতৃত্বে গড়া কমিটির প্রায় ৮০% সুপারিশ মানা হয়েছে বলে এ দিন জানান ত্যাগী। এর মধ্যেই রয়েছে বাজারে শেয়ার মূল্যের ভিত্তিতে প্রথম ১০০০টি নথিভুক্ত সংস্থায় ২০১৯-এর ১ এপ্রিলের মধ্যে অন্তত ৬ জন ডিরেক্টর রাখার নিয়ম চালু করা।
নথিভুক্তির নিয়ম ভাঙলে প্রোমোটারের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির নিদান দিয়েছে সেবি। তাদের শেয়ার বাজেয়াপ্তের ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জকে। পর্ষদ গড়া, ভোটদানের অধিকার ইত্যাদি নিয়ম না মানলে, নথি, অডিট রিপোর্ট সময়ে জমা না দিলে সংস্থাকে জরিমানা করতে পারবে স্টক এক্সচেঞ্জ। তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি না বদলালে নথিভুক্ত সংস্থা হিসেবে সাসপেন্ড করার অধিকার থাকবে স্টক এক্সচেঞ্জের।
দ্রুত শেয়ার লেনদেনের লক্ষ্যে ‘অ্যালগরিদ্মিক ট্রেডিং’-এর আওতা বাড়াচ্ছে সেবি। একটি স্টক এক্সচেঞ্জের মূল সার্ভারের কাছে বিশেষ সফটওয়্যারের সাহায্যে ওই লেনদেন করে থাকেন নির্দিষ্ট কিছু ব্রোকার। এত দিন তাঁরা কোনও অংশীদার দিতে পারতেন না। এ বার তাতে সায় দিল সেবি। ফলে আরও বেশি ব্রোকার এর আওতায় আসবেন। এর জন্য খরচও সকলের মধ্যে ভাগাভাগি হওয়ার কথা। এ ছাড়া ব্রোকারদের বেশ কিছু তথ্য জোগানো হবে নিখরচায়।
ফান্ডের লগ্নিতে উৎসাহ দিতে এই সব প্রকল্পের সম্পদের ভিত্তিতে লগ্নিকারীর থেকে নেওয়া বাড়তি খরচ কমিয়ে ৫ বেসিস পয়েন্ট করার কথা জানিয়েছে সেবি।