সত্যম কাণ্ডের জের

রাজুকে বেআইনি লাভের টাকা সুদ-সহ ফেরানোর নির্দেশ দিল সেবি

বি রামলিঙ্গ রাজু-সহ সত্যম কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সংস্থার ৫ প্রাক্তন কর্তাকে মোট ১,৮৪৯ কোটি টাকা ফেরতের নির্দেশ দিল শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি। এর উপর গুনতে হবে বছরে ১২% সুদ। সত্যম কেলেঙ্কারি সামনে আসার পর থেকে (২০০৯ সালের ৭ জানুয়ারি) গত সাড়ে পাঁচ বছরের হিসাব ধরলে সুদ-সহ ফেরতের অঙ্ক হবে প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকা। ৪৫ দিনের মধ্যেই এই পুরো টাকা জমা দিতে হবে সেবিকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৪ ০২:০৪
Share:

২০০৯-এ গ্রেফতার পর রাজু

বি রামলিঙ্গ রাজু-সহ সত্যম কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সংস্থার ৫ প্রাক্তন কর্তাকে মোট ১,৮৪৯ কোটি টাকা ফেরতের নির্দেশ দিল শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি। এর উপর গুনতে হবে বছরে ১২% সুদ।

Advertisement

সত্যম কেলেঙ্কারি সামনে আসার পর থেকে (২০০৯ সালের ৭ জানুয়ারি) গত সাড়ে পাঁচ বছরের হিসাব ধরলে সুদ-সহ ফেরতের অঙ্ক হবে প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকা। ৪৫ দিনের মধ্যেই এই পুরো টাকা জমা দিতে হবে সেবিকে।

তা ছাড়া, এ দিনের নির্দেশে ওই পাঁচ জনকে ১৪ বছরের জন্য শেয়ার বাজার থেকে দূরে থাকতেও বলা হয়েছে। রামলিঙ্গ রাজু বাদে বাকি অভিযুক্তরা হলেন রাজুর ভাই ও সংস্থার প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর বি রাম রাজু, তৎকালীন সিএফও বদলামণি শ্রীনিবাস, প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জি রামকৃষ্ণ ও অডিট-প্রধান ভি এস প্রভাকর গুপ্ত।

Advertisement

২০০৯ সালে প্রথম সামনে এসেছিল দেশের কর্পোরেট জগতের অন্যতম বৃহৎ এই আর্থিক কেলেঙ্কারি। জালিয়াতি স্বীকার করে সেবিকে চিঠি দিয়েছিলেন রামলিঙ্গ রাজু। তার পরই তদন্ত শুরু করে সেবি। সাড়ে ৫ বছর ধরে তদন্তের পর এ দিন ৬৫ পাতার নির্দেশে তারা জানিয়েছে, সত্যমে জালিয়াতির পরিমাণ ১২,০০০ কোটি টাকারও বেশি। পাঁচ জনের বেআইনি মুনাফা ১,৮৪৯ কোটি টাকা।

তদন্তে প্রকাশ, কয়েক বছর ধরে নিয়মিত জালিয়াতি চালিয়েছিলেন রাজু-সহ ওই কর্তারা। বাড়িয়ে দেখানো হয় সত্যমের লাভ ও নগদের পরিমাণ। সংস্থার দায়-সহ অন্যান্য তথ্যও জাল করা হয়। এর ফলে ক্ষতির মুখে পড়েন সাধারণ লগ্নিকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement