Education Loan

অনাদায়ি ঋণই সমস্যা, নিয়ম কড়া শিক্ষাঋণে

কারিগরি ও পেশাদারি পাঠ্যক্রমে ভর্তুকির শিক্ষাঋণের নিয়মে আরও কঠোর ব্যবস্থা।

Advertisement

প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৮ ০৫:৪৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

কারিগরি ও পেশাদারি পাঠ্যক্রমে ভর্তুকির শিক্ষাঋণের নিয়মে আরও কড়াকড়ি করল ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশন (আইবিএ)। তাদের সমস্ত সদস্য ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রেই নতুন নিয়ম প্রযোজ্য হবে। শিক্ষাঋণে অনুৎপাদক সম্পদ ক্রমশ বাড়তে থাকাই এর কারণ বলে মত অনেকের।

Advertisement

আইবিএ জানিয়েছে, ভর্তুকির সুবিধা পেতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শুধু এআইসিটিই অথবা ইউজিসি-র মতো কর্তৃপক্ষের অনুমোদন থাকলে হবে না। থাকতে হবে ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল (ন্যাক) অথবা ন্যাশনাল বোর্ড অব অ্যাক্রেডিটেশনের (এনবিএ) ছাড়পত্রও।

এ ছাড়া সেন্ট্রাল ফান্ডেড টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউশন্স (সিএফটিআই) বা জাতীয় স্তরে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে পড়লেও মিলবে ভর্তুকি। উপরের তালিকায় নেই এমন প্রতিষ্ঠান বা পাঠ্যক্রমে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রকের সায় থাকতে হবে। যেমন, ডাক্তারিতে মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া, নার্সিংয়ের ক্ষেত্রে নার্সিং কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া বা আইনে বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া।

Advertisement

সংক্ষেপে প্রকল্প

বাবা ও মায়ের মোট আয় বছরে ৪.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হলে, তবেই ভর্তুকি।

• পড়া শেষের এক বছর পর থেকে মাসিক কিস্তি শুরু।

• সুদ হিসেব হয় ঋণ পাওয়ার পর থেকেই।

• কিস্তি শুরু হওয়া পর্যন্ত সুদ বাবদ যে টাকা ব্যাঙ্কের পাওনা হয়, তা-ই ভর্তুকি মেলে।

এত দিন

• সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এআইসিটিই অথবা ইউজিসি-র মতো কর্তৃপক্ষের অনুমোদন থাকলেই এই ভর্তুকি মিলত।

এ বার

• ন্যাক, এনবিএ-র ছাড়পত্রও থাকতে হবে।

• সিএফটিআই অথবা জাতীয় স্তরে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে পড়লেও ভর্তুকি মিলবে।

• উপরের তালিকায় না থাকা অন্য পাঠ্যক্রমে সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রকের সায় থাকতে হবে।

শিক্ষা ক্ষেত্রে ক্রমশ বাড়ছে অনাদায়ি ঋণ। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গে তা মোট ঋণের ৮.৭২%। এই অবস্থায় নতুন নিয়মে শিক্ষাঋণে কড়াকড়ি বাড়ার আশঙ্কা। অনেক ব্যাঙ্ককর্তার দাবি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট পড়েও এখন অনেকে হয় চাকরি পাচ্ছেন না, নয়তো বেতনের অঙ্ক ভাল নয়। ফলে ঋণ শোধে সমস্যা হচ্ছে। তাই এই কড়াকড়ি।

যাঁদের বাবা-মায়ের মোট আয় বছরে ৪.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত, তাঁরা সেন্ট্রাল সেক্টর সাবসিডি স্কিমে শিক্ষাঋণে ভর্তুকি পান। এতে পড়া শেষের ১ বছর পর থেকে মাসিক কিস্তি দিতে হয়। কিন্তু সুদ হিসেব হয় ঋণ মেলার পর থেকেই। কিস্তি শুরু পর্যন্ত ব্যাঙ্ক সুদ বাবদ যে টাকা পায়, তা-ই ভর্তুকি মেলে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement