জিএসটি থেকে আয়ের পরিমাণ ২০২১-২২-এ ছিল জিডিপি-র ৫.৮৮%। প্রতীকী ছবি।
জিএসটি চালু হওয়ার পাঁচ বছর পরেও এখনও জিএসটি থেকে কর বাবদ আয় প্রাক-জিএসটি যুগের তুলনায় কম।
এখন প্রতি মাসেই জিএসটি থেকে আয় ১ লক্ষ কোটি টাকার আয় বেশি হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় সরকার সন্তুষ্ট। কিন্তু সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, জিএসটি থেকে আয়ের পরিমাণ ২০২১-২২-এ ছিল জিডিপি-র ৫.৮৮%। ২০১৭-র জুলাইয়ে জিএসটি চালুর পরে মদ ও জ্বালানি বাদে প্রায় সব পণ্য ও পরিষেবার উপরে করই জিএসটি-র আওতায় চলে গিয়েছে। জিএসটি চালুর আগে ২০১৬-১৭-য় এই করগুলি থেকে আয়ের পরিমাণ ছিল জিডিপি-র ৬.৬৮%। অর্থাৎ প্রাক-জিএসটিবছরের তুলনায় জিএসটি-র চালুর পাঁচ বছর পরেও আয় কম। গবেষণা সংস্থা পিআরএস লেজিসলেটিভ স্টাডি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, জিএসটি ক্ষতিপূরণ সেস বাদ দিলে জিএসটি থেকে আয় আরও কমবে। তা জিডিপি-র মাত্র ৫.৪৪%-এ পৌঁছবে।
রাজ্যগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি করেছে, পাঁচ বছর পরও জিএসটি ক্ষতিপূরণের মেয়াদ বাড়ানো হোক। কিন্তু কেন্দ্র এখনও তাতে সায় দেয়নি। কিছু রাজ্য জিএসটি থেকে আয়ের ৫০% ভাগের বদলে কেন্দ্রের থেকে ৬০% ভাগ দাবি করছে। পিআরএস-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, জিএসটি চালুর পরে বহু রাজ্যেরই রাজস্ব বৃদ্ধির হার কমে গিয়েছে। চলতি অর্থ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ কমিশনের সুপারিশ মেনে রাজ্যগুলিকে রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে অনুদানও দিচ্ছে। কিন্তু তার পরেও পশ্চিমবঙ্গ-সহ সাতটি রাজ্যে রাজস্ব ঘাটতি থাকবে।