প্রতীকী ছবি।
মাসখানেক হল পেট্রলের দাম ১০০ টাকার উপরে থমকে। তবে ডিজ়েল কমছে। আজও কলকাতায় আইওসি-র পাম্পে লিটারে ২৫ পয়সা কমে তা হয়েছে ৯২.৩২ টাকা। এই নিয়ে টানা তিন দিনে কমল মোট ৭০ পয়সা। যদিও দীর্ঘ দিন ধরে লাগাতার দাম বৃদ্ধির নিরিখে তা সামান্যই। তবে দেশে জ্বালানির চড়া দর এবং তার জেরে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের জন্য বিশ্ব বাজারের যে অশোধিত তেলকে দায়ী করে মোদী সরকার, তার দাম পড়ছে। এক সময় যা ব্যারেলে ৭৫ ডলার ছাড়িয়েছিল, বৃহস্পতিবার তা-ই নেমেছে প্রায় ৬৬ ডলারে। ফলে মাথা তুলছে প্রশ্ন, এর সুবিধা দেশবাসী পাবেন কি? যে ভাবে এক সময় ডিজ়েল একটানা বেড়েছে, সে ভাবেই নাগাড়ে কমবে তো? অশোধিত তেল সস্তা হওয়া সত্ত্বেও রেকর্ড উচ্চতায় পেট্রলের দাম কেন স্থির?
সংশ্লিষ্ট মহলের অভিযোগ, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল চড়লে দেশের জ্বালানিতে তার প্রতিফলন যত দ্রুত এবং নিখুঁত ভাবে পড়ে, উল্টোটা হলে দেখা যায় না। এখনও পেট্রলের দাম রেকর্ড উচ্চতায় থমকে। অথচ এ দিন ব্রেন্ট ক্রুড এক ব্যারেল ৬৬.২৯ ডলারে নেমেছে। ডব্লিউটিআই ক্রুড নেমেছে ৬৩.৪৯ ডলারে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এর কারণ আমেরিকা-সহ কিছু দেশে আবার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় তেলের চাহিদায় কোপ, ডলারের দাম বৃদ্ধি এবং আচমকা আমেরিকার গ্যাসোলিনের মজুত বাড়ানো। তাঁদের মতে, এটাই সুযোগে ভারতে পেট্রল-ডিজ়েলের দাম কমিয়ে দেশবাসীকে সুরাহা দেওয়ার।