গত বছর সেপ্টেম্বরে আইএল অ্যান্ড এফএস লগ্নিকারীদের টাকা মেটাতে ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে দেশের ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির (এনবিএফসি) নগদের সমস্যা ঘোরালো হয়েছে। তাদের ঋণ দেওয়া থেকে হাত গুটিয়ে রেখেছে ব্যাঙ্কগুলি। ফলে বাজারেও কমেছে নগদের জোগান। বুধবার ঋণনীতিতে এনবিএফসিগুলির সেই সমস্যা মেটাতে পদক্ষেপ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এখন থেকে ব্যাঙ্কগুলি আগ্রাধিকারের তালিকায় থাকা ক্ষেত্রগুলিতে (প্রায়রিটি সেক্টর) ঋণ দিতে পারবে এনবিএফসির মাধ্যমেও। এই সব ক্ষেত্রে এনবিএফসিকে দেওয়া ব্যাঙ্কের ঋণের ঊর্ধ্বসীমাও বাড়ানো হয়েছে। এই পদক্ষেপ ঠিক ভাবে কার্যকর হলে বাজারে নগদের সমস্যা কিছুটা কাটবে বলে মত অনেকের।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন, নিয়ম মেনে চলা বড় এনবিএফসিগুলি যাতে আর্থিক সমস্যায় না পড়ে, তা নিশ্চিত করবেন তাঁরা। ৫০টি ওই ধরনের এনবিএফসিকে চিহ্নিত করে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এনবিএফসিগুলি সাধারণত ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে অন্যদের ধার দেয়। আবার ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের মোট ঋণের অন্তত ৪০% কৃষি, ছোট শিল্প ও গৃহঋণের মতো অগ্রাধিকার ক্ষেত্রকে দিতে হয়। এনবিএফসিগুলিকে অগ্রাধিকার ক্ষেত্রের জন্য দেওয়া ঋণ তারই অংশ হিসেবে ধরা হবে। পাশাপাশি, অগ্রাধিকার ক্ষেত্রে এনবিএফসিগুলির গ্রাহকপিছু ঋণের ঊর্ধ্বসীমাও বাড়ছে। কৃষি ক্ষেত্রে এক জন ঋণগ্রহীতাকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারবে তারা। ছোট শিল্প ও গৃহঋণের ক্ষেত্রে তা ২০ লক্ষ পর্যন্ত।
এরই সঙ্গে নিজেদের ‘টিয়ার-১ ক্যাপিটাল’-এর (শেয়ার মূলধন ও সংরক্ষিত তহবিলের সমষ্টি) ২০% পর্যন্ত একটি এনবিএফসিকে ধার দিতে পারবে ব্যাঙ্ক। আগে ছিল ১৫%।