RBI

রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ডিজিটাল মুদ্রা, পাইলট প্রকল্প শীঘ্রই

আরবিআই বলেছে, সাধারণ মুদ্রার মতো পরিচালিত হবে ই-টাকা। কিছুটা তার পরিবর্ধিত ব্যবস্থা হিসেবে। এমন ভাবে তৈরি হবে, যাতে তা প্রায় কাগুজে টাকার মতো হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২২ ০৭:০৫
Share:

রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। ফাইল চিত্র।

বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের ঘোষণার পর থেকে দেশের মানুষ রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ডিজিটাল মুদ্রার অপেক্ষায় দিন গুনছে। শুক্রবার সেই অপেক্ষা শেষ হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আরবিআই জানাল, শীঘ্রই পরীক্ষামূলক ভাবে (পাইলট প্রকল্প) ‘ই-রুপি’ চালু করতে চলেছে তারা। বিষয়টি নিয়ে একটি খসড়া পত্র প্রকাশ করে তাদের দাবি, প্রাথমিক ভাবে শুধু বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ওই মুদ্রা ব্যবহার করা যাবে। তবে লক্ষ্য, এর হাত ধরে আগামী দিনে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থাকে আরও দক্ষ এবং সুরক্ষিত করে গড়ে তোলা। সেই সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা আটকানো।

Advertisement

নির্মলা স্পষ্ট বলেছিলেন, নেট মাধ্যমে ব্যবহৃত ক্রিপ্টোকারেন্সি ভারতে ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে গণ্য হবে না। ওই তকমা পাবে শুধু সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি (সিবিডিসি)। ভবিষ্যতে যা আনার দায়িত্ব রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের। এ দিন খসড়া পত্রে সেই সিবিডিসি, ভারতের ডিজিটাল টাকা বা ‘ই-রুপি’-র ব্যাখ্যা দিয়েছে আরবিআই। জানিয়েছে, খসড়া আনার উদ্দেশ্য এ ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি। বর্তমান অর্থ ব্যবস্থায় চালু থাকা সাধারণ মুদ্রার বিকল্প আনা তাদের উদ্দেশ্য নয়। বরং ডিজিটাল টাকাকে সাধারণ নোটের পরিপূরক করে তোলার চেষ্টা চলছে। যাতে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত একটি ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রবর্তন করা যায়। যার সুবিধা নিতে পারবে সকলে। নিশ্চিত করা হবে ব্যবস্থাটি যাতে নিরাপদ, দক্ষ, সহজ হওয়ার পাশাপাশি খরচ সাপেক্ষ না হয়। এর মাধ্যমে আরও বেশি মানুষকে সংগঠিত আর্থিক পরিষেবার আওতায় আনা এবং জালিয়াতি নিয়ন্ত্রণও তাদের লক্ষ্য বলে জানিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক।

অতীতে ক্রিপ্টো নিয়ে বার বার সাবধান করেছেন আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, বেআইনি আর্থিক লেনদেন, ড্রাগ কেনাবেচার মতো ঘটনায় ব্যবহার করা ছাড়াও দেশের আর্থিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে মাথাব্যথার কারণ হতে পারে এই মুদ্রা। ক্রিপ্টোকে সম্পদ তকমা দিয়ে তাতে কর বসিয়েছে কেন্দ্র। বিশ্ব মঞ্চে এগুলির উপরে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ন্ত্রণ আরোপের সওয়ালও করেছেন নির্মলা। এই পরিস্থিতিতে ভারতের ই-রুপি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। একাংশের দাবি, এটা ভবিষ্যতে দেশে আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থার নকশাই বদলে দিতে পারে।

Advertisement

আরবিআই বলেছে, সাধারণ মুদ্রার মতো পরিচালিত হবে ই-টাকা। কিছুটা তার পরিবর্ধিত ব্যবস্থা হিসেবে। এমন ভাবে তৈরি হবে, যাতে তা প্রায় কাগুজে টাকার মতো হয়। চালুর প্রক্রিয়াও সহজে সামলানোর ব্যবস্থা করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement