—প্রতীকী চিত্র।
নিয়ন্ত্রণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের (পিপিবিএল) বেশ কিছু পরিষেবার উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরের বক্তব্য, শীর্ষ ব্যাঙ্কের এই কড়া পদক্ষেপের ফলে আর্থিক প্রযুক্তি সংস্থাগুলি নিয়মশৃঙ্খলার গুরুত্ব বুঝতে পারবে। পেটিএম কাণ্ডের বিরূপ প্রভাব সামগ্রিক আর্থিক প্রযুক্তি ক্ষেত্রের উপরে পড়বে না বলেও মনে করেন তিনি।
গত মাসের শেষ দিকে পিপিবিএলের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। শুরুতে তারা জানিয়েছিল, ২৯ ফেব্রুয়ারির পর থেকে সংস্থাটি কোনও আমানত জমা নিতে পারবে না। চালাতে পারবে না প্রিপেড, ফাস্ট্যাগের মতো পরিষেবা। তবে গত শুক্রবার নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের ব্যাপারে পিপিবিএলকে আরও ১৫ দিন সময় দিয়েছে আরবিআই। আর্থিক প্রযুক্তি সংস্থাটি অবশ্য জানিয়েছে, কিউ-আর কোড, আর্থিক লেনদেনের মতো পরিষেবাগুলি পেতে গ্রাহকদের কোনও অসুবিধা হবে না। লেনদেনের মূল অ্যাকাউন্টটি তারা পিপিবিএলের থেকে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে।
আজ এক সাক্ষাৎকারে চন্দ্রশেখর জানান, তিনিও এক সময়ে প্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। স্টার্ট-আপ চালিয়েছেন। অনেক সময় এই ধরনের সংস্থাগুলি নিজেদের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং ব্যবসার কাজে এতটাই ডুবে থাকে যে, সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণ বিধি মানার বিষয়টিতে তারা যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় না। পিপিবিএলের ক্ষেত্রেও সেটা হয়েছে। একটি আগ্রাসী সংস্থা নিয়ন্ত্রণ বিধির গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। দেশি বা বিদেশি, ছোট কিংবা বড়, কোনও সংস্থাকেই এ ব্যাপারে ছাড় দেওয়া হবে না। মন্ত্রীর আরও বক্তব্য, পিপিবিএলের ঘটনায় গোটা আর্থিক প্রযুক্তি ক্ষেত্রে জোর ঝাঁকুনি লেগেছে বলে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে। কিন্তু সেই ধারণা ঠিক নয়।
চন্দ্রশেখর বলেন, ‘‘এই ঘটনা (পেটিএম কাণ্ড) আর্থিক প্রযুক্তি ক্ষেত্রের উদ্যোগপতিদের নিয়মকানুনের ব্যাপারে সচেতন করবে। পৃথিবীর কোথাও নিয়ন্ত্রণ বিধি মানা কারও ইচ্ছার উপরে নির্ভরশীল নয়। সেটা বাধ্যতামূলক। ভারতের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য।’’