মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেন। উপচে পড়ছে ভিড়। ফাইল চিত্র
পশ্চিমবঙ্গে ৫ মে থেকে লোকাল ট্রেনের স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ ছিল। গত ৩১ অক্টোবর থেকে টাইম টেবল মেনে লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে বলা হয়েছে, আপাতত ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে লোকাল ট্রেন। একই সঙ্গে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া লোকাল ট্রেনে যাতে সফর না করা হয় তার জন্য রাজ্য প্রশাসনের পাশাপাশি রেলের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে। তবে গত এক সপ্তাহে দেখা গিয়েছে করোনাকালের আগের ছবিই ফিরে এসেছে লোকাল ট্রেনে। পূর্ব রেলের মতো পরিস্থিতি পশ্চিম রেলেও। মুম্বই শাখায় লোকাল ট্রেনের ভিড় কমানোর জন্য অসংরক্ষিত টিকিটের অ্যাপ ইউটিএস (আনরিজার্ভ টিকেটিং সিস্টেম)-এর সঙ্গে করোনা টিকার অ্যাপ কো-উইন যুক্ত করার কথা ভাবনাচিন্তা চলছে। সেটা হয়ে গেলে ওই অ্যাপ থেকে তাঁরাই টিকিট কাটতে পারবেন যাঁদের দু’টি টিকাই নেওয়া হয়ে গিয়েছে।
ইউটিএস কেন্দ্রীয় ভাবে পরিচালিত টিকিট কাটার সর্বভারতীয় অ্যাপ। যদি তা কো-উইন অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত হয় তবে তা গোটা দেশেই কার্যকর হবে। তবে পশ্চিমবঙ্গেও সেই পদ্ধতিতে টিকিট কাটায় নিয়ন্ত্রণ কার্যকর হবে কি না সে ব্যাপারে পূর্ব বা দক্ষিণ-পূর্ব রেলের পক্ষে কিছু জানা যায়নি। তবে পশ্চিম ও মধ্য রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এমন ভাবনা শুরু হয়েছে ভারতীয় রেলের পক্ষে। আর সেটা হলে তা গোটা দেশেই কার্যকর হবে।
করোনা টিকার যে শংসাপত্র দেওয়া হয় তাতে ছবি থাকে না। তাই কাউন্টার থেকে টিকিট কাটার সময়ে টিকার শংসাপত্র বাধ্যতামূলক করা হলেও তা কার্যকর হবে না। সেই কারণেই রেলের ভাবনা ইউটিএস আর কো-উইন অ্যাপ যুক্ত থাকুক। তাতে অ্যাপের মাধ্যমে যাঁরা টিকিট কাটছেন তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এর ফলে লোকাল ট্রেনে ভিড় অনেকটাই কমানো যাবে বলে মনে করছে রেল।
এখন ইউটিএস অ্যাপে সকলেই টিকিট কাটতে পারছেন। দৈনিক বা সিজন টিকিট কাটা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে অ্যাপে করোনা টিকার শংসাপত্র আপলোড করার কোনও ব্যবস্থা নেই। সেটা হয়ে গেলে টিকিট কাটার উপরে নিয়ন্ত্রণ আসতে পারে।