India-Canada

প্রশ্ন ভারত-কানাডা বাণিজ্য ঘিরে

রফতানি বাণিজ্য মহলের একাংশের আশঙ্কা, এর ফলে অবাধ বাণিজ্য চুক্তির পথ আটকে যাবে না তো? বিশেষত গত জুনে নিজ্জর হত্যার পরেই যেহেতু আচমকা এই সংক্রান্ত আলোচনা বন্ধ করে দেয় কানাডা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৫:০৫
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের হত্যা নিয়ে সম্প্রতি ভারত-কানাডার সম্পর্ক শীতল হয়েছে। আজ দুই দেশই পরস্পরের একজন করে দূতাবাস কর্মীকে বহিষ্কার করেছে। তার পরেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে তাদের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির উদ্যোগ।

Advertisement

রফতানি বাণিজ্য মহলের একাংশের আশঙ্কা, এর ফলে অবাধ বাণিজ্য চুক্তির পথ আটকে যাবে না তো? বিশেষত গত জুনে নিজ্জর হত্যার পরেই যেহেতু আচমকা এই সংক্রান্ত আলোচনা বন্ধ করে দেয় কানাডা। অথচ তার আগে এ বছরের মধ্যে চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার আশা প্রকাশ করেছিল দু’দেশ। তবে অন্য অংশ আশাবাদী, প্রাথমিক ভাবে কিছুটা উদ্বেগ তৈরি হলেও তাদের বাণিজ্যিক সম্পর্কের অবনতি হওয়ার কথা নয়। ভবিষ্যতে মুক্ত বাণিজ্যও শুরু হবে। তাদের দাবি, সাম্প্রতিক অতীতে চিনের সঙ্গে একাধিক বার সীমান্ত সংঘর্ষে জড়িয়েছে ভারত। কিন্তু বেজিং এখনও দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সহযোগী।

খলিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা কানাডার মাটিকে ভারতবিরোধী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করছে বলে অনেক দিন ধরে অভিযোগ জানিয়ে আসছে নয়াদিল্লি। সম্প্রতি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো মন্তব্য করেন, নিজ্জরের মৃত্যুর পিছনে যে ভারতের হাত আছে সে ব্যাপারে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য তাঁর হাতে রয়েছে। মোদী সরকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে ক্ষোভ এবং তার পাল্টা হিসেবে দূতাবাসের কর্মী বহিষ্কার পরিস্থিতিকে আরও ঘোরালো করেছে। যে কারণে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বাণিজ্যিক সম্পর্কেও তার ধাক্কা লাগার। উল্লেখ্য, ভারত-কানাডা বিভিন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে পরস্পরের উপর নির্ভরশীল। ২০২২-এ দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য হয়েছে ৮০০ কোটি ডলার (প্রায় ৬৬,৬৩২ কোটি টাকা)। শুধু পারস্পরিক রফতানিই হয় প্রায় অর্ধেক, ৪০০ কোটি ডলার। এই ভরসাই অবাধ বাণিজ্যের পথ চওড়া করছিল।

Advertisement

গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের (জিটিআরআই) সহ-প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তবের কথায়, ‘‘বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই।’’ তবে মুম্বইয়ের রফতানি ব্যবসায়ী শরদ কুমার শ্রফের ধারণা, সাময়িক ভাবে অস্বস্তি তৈরি হতে পারে। সবাই মানছেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে চলে। ফলে ভবিষ্যতে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। যদিও অদূর ভবিষ্যতে অবাধ বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনা দেখছেন না কেউই।

সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে ভারতের শিখ পরিবারগুলির একাংশও উদ্বিগ্ন। কারণ, তাদের বাড়ির অনেকে কানাডায় চাকরি বা ব্যবসা করেন। প্রত্যেক বছর বিপুল অর্থ পাঠান দেশে। তাদের প্রশ্ন, আয়ের এই উৎস বিঘ্নিত হবে না তো?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement