—প্রতীকী চিত্র।
নিলামে ওঠা সমস্ত স্পেকট্রামের ন্যূনতম মোট দাম ছিল ৯৬,২৩৮ কোটি টাকা। কিন্তু টেলিকম সংস্থাগুলির আগ্রহের অভাবে আজ সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে সরকারি আধিকারিকেরা সেই নিলামে দাঁড়ি টানতে বাধ্য হলেন। সওয়া এক দিনে বিক্রি হল ১১,৩৪০ কোটি টাকার স্পেকট্রাম। অর্থাৎ, লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ১২%। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করিয়ে দিচ্ছে, ২০২২ সালের নিলাম চলেছিল সাত দিন ধরে। প্রত্যাশা ছাপিয়ে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকার স্পেকট্রাম কিনেছিল সংস্থাগুলি।
এই ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, দেশের টেলিকম ক্ষেত্র আর্থিক ভাবে ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে! যেখানে কেন্দ্র ডিজিটাল অর্থনীতিতে গুরুত্ব দিচ্ছে। আর তার ফলে সেই পরিকাঠামো তৈরির সুযোগও বাড়ছে। অথচ টেলিকম সংস্থাগুলির মধ্যে সেই আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না! সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, তিন বেসরকারি সংস্থা (রিলায়্যান্স জিয়ো, ভারতী এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়া তথা ভি) নিলামে যোগ দেওয়ার জন্য যে আগাম টাকা জমা দিয়েছিল, তার অঙ্কও বেশ কম ছিল। তাতে বোঝা যাচ্ছিল এ দফায় স্পেকট্রাম কেনার ব্যাপারে তারা তেমন আগ্রাসী হবে না। কিন্তু নিলাম যে লক্ষ্যমাত্রার এতটা দূরে থমকে যাবে সেটাও কেউ আঁচ করতে পারেননি। এয়ারটেল জানিয়েছে, তারা ৬৮৫৭ কোটি টাকার স্পেকট্রাম কিনেছে। তাদের শাখা সংস্থা ভারতী হেক্সাকম কিনেছে ১০০১ কোটির। এ ছাড়া ভি ৩৫১০ কোটি এবং জিয়ো ৯৭৩.৬ কোটির কিনেছে।
এ দফায় ৮০০ মেগাহার্ৎজ় থেকে ২৬ গিগাহার্ৎজ় বেতারতরঙ্গের মোট ১০ গিগাহার্ৎজ় স্পেকট্রামকে নিলামে তোলা হয়েছিল। সাতটি রাউন্ডের শেষে বিক্রিবাটা থমকে গিয়েছে ১৫০ মেগাহার্ৎজ়ে। গত কাল পাঁচ রাউন্ড এবং আজ সকালে দু’টি রাউন্ডেই স্পেকট্রাম বিক্রির প্রক্রিয়া শেষ হয়।