জাপানের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর কিছু ইঙ্গিত হালে ফুটে উঠেছে ঠিকই। কিন্তু তা বলে তাকে চাঙ্গা করার ত্রাণ প্রকল্প ফিরিয়ে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (আইএমএফ)।
শনিবার এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের (এডিবি) বার্ষিক বৈঠকের ফাঁকে আইএমএফের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মিৎসুহিরো ফুরুসাওয়া বলেন, জাপানি অর্থনীতিকে পুরোদস্তুর ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে ত্রাণ প্রকল্প এখনও চালিয়ে যাওয়া জরুরি। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আগে দরকার চাহিদা বাড়ানো। যে-কারণে ফুরুসাওয়া মনে করছেন, ব্যাঙ্ক অব জাপানকে (ওই দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক) এখনও কম সুদের জমানাই বজায় রাখতে হবে। সেই সঙ্গে জারি রাখতে হবে ত্রাণ প্রকল্প। যাতে অর্থনীতিতে নগদের জোগান বাড়ে। আর তার হাত ধরে বাড়ে চাহিদা।
বিপুল অঙ্কের ত্রাণ প্রকল্প চালিয়ে যেতে গিয়ে জাপানের কাঁধে দেনার বোঝা যে ক্রমশ বেড়ে চলেছে, তা মেনে নিয়েছেন ফুরুসাওয়া। কিন্তু তাঁর মতে, এই মুহূর্তে রাজকোষ ঘাটতির তুলনায় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা বেশি জরুরি। তবে তা করতে গিয়ে জাপানকে দীর্ঘ মেয়াদে যাতে অসুবিধায় না-পড়তে হয়, সে জন্য সরকারের আয় বাড়াতে ধীরে ধীরে করের হার বাড়ানোর পক্ষপাতী তিনি। সেই কারণে জোর দিয়েছেন ধাপে ধাপে বিক্রয় করের হার বাড়ানোয়।
সেই ২০১৪ সাল থেকে মন্দার ছোবলে আক্রান্ত জাপানের অর্থনীতি। চাহিদা তলানিতে। এতটাই যে, জিনিসপত্রের দাম বাড়া তো দূর অস্ত্, বরং ক্রমশ নীচের দিকে নেমেছে মূল্যবৃদ্ধির হার। এই ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ওই বছরই ২৭,৬০০ কোটি ডলারের (১৭.৬৭ লক্ষ কোটি টাকা) ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণা করে জাপান সরকার।