গৌতম আদানি। —ফাইল চিত্র।
কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে আদানি গোষ্ঠীর বিমানবন্দর অধিগ্রহণের প্রস্তাবের বিরোধিতায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। আন্দোলনে নেমেছে সে দেশের উড়ান ক্ষেত্রের কর্মী সংগঠন কেনিয়া অ্যাভিয়েশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। ধর্মঘটও করেছে তারা। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের আশঙ্কা, এই ঘটনা ভারতের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে ইন্ধন জোগাতে পারে। মঙ্গলবার তিনি এক্স-এ লিখেছেন, ‘‘আদানিদের বিরুদ্ধে কেনিয়ার মানুষের আন্দোলন ভারত এবং ভারতের সরকারের বিরুদ্ধে রোষে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’’
নাইরোবিতে জ়োমো কেনিয়াট্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে কিনতে উদ্যোগী গৌতম আদানির গোষ্ঠী। সে দেশের সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট, তার জন্য সেখানে শাখা খুলেছে আদানিরা। এর পরেই কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। আদানিরা সফল হলে কর্মী ছাঁটাই হতে পারে, এই আশঙ্কায় গত সোমবার ধর্মঘট করে ইউনিয়ন। রমেশের দাবি, ‘‘এটা ভারতের পক্ষে চিন্তার। অজৈবিক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আদানির সখ্য বিশ্বে সর্বজনবিদিত। ফলে ওই আন্দোলন সহজেই ভারত এবং কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রোষে পরিণত হতে পারে।’’ কেনিয়ার সরকার অবশ্য কর্মীদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছে, বিমানবন্দর বিক্রি হচ্ছে না। এটি সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ। কার হাতে যাবে তা-ও চূড়ান্ত নয়।
কংগ্রেস নেতার দাবি, আদানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ‘মাখামাখি’ আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের ভাবমূর্তির ক্ষতি করছে। বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সে দেশকে বিদ্যুৎ বেচতে আদানিদের ঝাড়খণ্ডের বিদ্যুৎ উৎপাদন কারখানার সঙ্গে চুক্তি হয়। সে দেশের মানুষও তখন ক্ষুব্ধ হন। ক্ষোভ দেখা গিয়েছিল পড়শি শ্রীলঙ্কায় আদানিদের প্রকল্প নিয়েও।