—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পাল্টাচ্ছে ঋণ নেওয়ার প্রেক্ষাপট। সঙ্গে তার প্রক্রিয়াও। আগে ধার করে কেনা জিনিসের মধ্যে মূলত থাকত গাড়ি-বাড়ি। পরে তাতে পা রাখে ফ্রিজ়-টিভি, মোবাইল ফোন-সহ বিভিন্ন দামি ভোগ্যপণ্য। এ বার এক সমীক্ষায় উঠে এল, বাড়ি তৈরি করতে যত জন ঋণ নিচ্ছেন, তার প্রায় আড়াই গুণ বেশি নিচ্ছেন ভোগ্যপণ্য কিনতে। তবে ২০২২-এর থেকে ধার করে মোবাইলের মতো পণ্য কেনার ঝোঁক অনেক কমেছে। পাশাপাশি আগে ধার নিতে গেলে ব্যাঙ্কে ছোটাছুটি করাই ছিল দস্তুর। এখন অনেক এগিয়ে গিয়েছে নেট ব্যাঙ্কিং। কম্পিউটার বা মুঠো ফোনে ধার করার প্রক্রিয়াটা সারছেন নতুন প্রজন্মের ঋণগ্রহীতারা। সমীক্ষা বলছে, যত জন ঋণ নিচ্ছেন তাঁদের অর্ধেকের বেশি বেছে নিয়েছেন নেট ব্যাঙ্কিং বা ব্যাঙ্কিং অ্যাপকে।
দেশের ১৭টি শহরের ২৫০০ জনেরমধ্যে সমীক্ষা চালিয়েছিল এনবিএফসি হোম ক্রেডিট। তাতে দেখা গিয়েছে মোট যত জন ঋণ নিয়েছেন, তার মধ্যে ৫২% কাজ সেরেছেন অনলাইনে কিংবা ফোন ব্যাঙ্কিং মারফত। মেট্রো শহরগুলিতে সেই হার প্রায় ৭০%।
এ ছাড়া, ১০০ জনের মধ্যে ৩৭ জন ধার করে কিনেছেন মোবাইল বা অন্যান্য বৈদ্যুতিন সামগ্রী, ১৫ জন ফ্ল্যাট-বাড়ি। নতুন ব্যবসা তৈরির জন্য ঋণ নিয়েছেন ২১ জন। তথ্য বলছে, ২০২২-এ মোবাইল বা ভোগ্যপণ্য কিনতে ধার নিয়েছিলেন ৫৩%। সংশ্লিষ্টমহলের মতে, কোভিড কাটিয়ে জীবন স্বাভাবিক হওয়ায় পড়িমড়ি করে দামি ফোন কেনার সেই প্রবণতা যে কমেছে, সেটা স্পষ্ট। সেই জন্যই এ বার তার হার তুলনায় কম। বরং আবাসনে আগ্রহ বেড়েছে। কারণ, সে জন্য ধার নেওয়ার হার দু’বছর আগের ৯% থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫%। গাড়ি কিনতে ২০২২-এ ঋণ নিয়েছিলেন ৩%, এ বছর তা ৬%।
নেটে কেনাকাটা নিয়েও সমীক্ষা চালিয়েছে তারা। দেখা গিয়েছে, তাতে প্রথম কলকাতা। এখানে ৭১ শতাংই নেটে নিয়মিত কেনাকাটা করেন। এর পরে কোচি, হায়দরাবাদ ও চেন্নাই। যথাক্রমে ৬৬%, ৬৪% ও ৬০%।