প্রতীকী ছবি।
ফের রেকর্ড দৌড় শুরু হয়েছে পেট্রল-ডিজ়েলের। কলকাতায় আইওসি-র পাম্পে আজও ৩০ পয়সা করে বেড়েছে জ্বালানি দু’টির দাম। পেট্রল হয়েছে লিটারে ১০২.৭৭ টাকা। ডিজ়েল ৯৩.৫৭ টাকা। দেশের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে শুক্রবার রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগরে পেট্রল বিকিয়েছে ১১৩.৭৩ টাকায়। ডিজ়েল ছিল ১০৩.৯০ টাকা। তেল সব থেকে চড়া সেখানেই। বিমানের জ্বালানির দামও এ দিন বেড়েছে ৫.৮%।
গত মাসের শেষ থেকে শুরু হওয়া নতুন দৌড়ে এর মধ্যেই কলকাতায় পেট্রল ১.১৫ টাকা দামি হয়েছে, ডিজ়েল ১.৮৬ টাকা। এ দিন মোদী সরকারকে বিঁধে কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীর টুইট, ‘‘রেকর্ড ভাঙা মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী পেট্রলের দাম। আর পেট্রলের রেকর্ড দামের জন্য দায়ী কেন্দ্র। সব ‘ভুল’ রেকর্ড ভাঙার জন্য দায়ী একজনই।’’ মোদী সরকারের জমানায় আমজনতার জীবন কঠিন হয়ে গিয়েছে দাবি করে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সূরজেওয়ালার অভিযোগ, লিটারে পেট্রলে ৪১.৩২ টাকা ও ডিজ়েলে ৪২.২৯ টাকা করের জন্যই জ্বালানি দু’টির দর এত চড়া।
দেশের বেশির ভাগ জায়গা পেট্রলে সেঞ্চুরি দেখেছে আগেই। আট দিনের দর বৃদ্ধিতে ডিজ়েলেও শতরান করেছে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গনার বহু শহর।
তেলে উৎপাদন শুল্ক কমিয়ে আমজনতাকে সুরাহা দেওয়ার দাবি এখনও কানে তোলেনি কেন্দ্র। বরং বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দরকে দুষেছে। যা এখন ব্যারেলে ৭৮ ডলারের উপরে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, আর্থিক কর্মকাণ্ড যখন গতি পাচ্ছে, তখন এমন চড়া দর সব খরচই বাড়াবে। তা ঠেলে তুলবে মূল্যবৃদ্ধিকে। পণ্যের দাম বাড়লে ফের ধাক্কা খাবে চাহিদা। করোনার তৃতীয় ঢেউ শেষ পর্যন্ত আছড়ে না-পড়লেও, অর্থনীতি জ্বালানির আঁচ থেকে রক্ষা পাবে কি?