ফাইল চিত্র।
কাঁচামালের দাম এবং পণ্য পরিবহণের খরচ অনেকটাই বেড়েছে বিগত কয়েক মাসে। এই বর্ধিত খরচের একটা অংশ ক্রেতাদের কাঁধে তুলে দিয়েছে বেশ কয়েকটি দীর্ঘমেয়াদি ভোগ্যপণ্য সংস্থা। তার ফলে নতুন বছরের গোড়ায় এসি এবং রেফ্রিজারেটরের দাম বেড়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সেগুলির দাম আরও কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানাচ্ছে সংস্থাগুলি। এ দফায় দাম বৃদ্ধির তালিকায় যোগ হতে পারে ওয়াশিং মেশিন-সহ ঘরের কাজে ব্যবহৃত আরও কিছু পণ্য।
বৈদ্যুতিন ভোগ্যপণ্য সংস্থাগুলির সংগঠন কনজ়িউমার ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েন্সেস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনর (সিয়ামা) প্রেসিডেন্ট এরিক ব্র্যাগানজ়া বলেন, ‘‘উৎসবের মরসুমে যাতে চাহিদা বিঘ্নিত না হয়, তার জন্য দাম বৃদ্ধি স্থগিত রেখেছিল শিল্প। কিন্তু এখন সংস্থাগুলির সামনে আর কোনও রাস্তা খোলা নেই। আমাদের ধারণা জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে তারা বিভিন্ন পণ্যের দাম ৫%-৭% বাড়াবে।’’ সেই সঙ্গে শিল্পের একটি অংশ বলছে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় বিভিন্ন রাজ্যে বিধিনিষেধ, নৈশ কার্ফু, সপ্তাহান্ত কার্ফু চালু হওয়ায় উৎপাদন ২৫ শতাংশের মতো কমতে চলেছে। নতুন এই পরিস্থিতিও দাম বৃদ্ধিকে আরও অবশ্যম্ভাবী করে তুলেছে। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের বক্তব্য, উৎসবের মরসুমের কাঁধে ভর করে আবার মাথা তুলছিল ভোগ্যপণ্যের বাজার। দাম বাড়লে চাহিদা ফের ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
হায়ার অ্যাপ্লায়েন্সেস ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট সতীশ এন এস বলেন, ‘‘কাঁচামাল এবং পণ্য পরিবহণের খরচ সম্প্রতি নজিরবিহীন ভাবে বেড়েছে। এই অবস্থায় আমরা রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন এবং বাতানুকূল যন্ত্রের দাম ৩%-৫% বাড়ানোর পদক্ষেপ করেছি।’’ প্যানাসনিক ইন্ডিয়ার ডিভিশনাল ডিরেক্টর ফুমিয়াসু ফুজিমোরি জানান, ইতিমধ্যেই তাঁরা এসির দাম ৮% বাড়িয়েছেন। তা আরও বাড়ানোর ভাবনাচিন্তা চলছে। বাড়তে পারে অন্যান্য বৈদ্যুতিন পণ্যের দামও। এলজি ইলেকট্রনিক্স ইন্ডিয়ার কর্তা দীপক বনসলের কথায়, ‘‘বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে চেষ্টা করেছি খরচ বৃদ্ধির বোঝা যতটা বেশি সম্ভব নিজেদের কাঁধে নিতে। কিন্তু তার পরেও দাম কিছুটা বাড়াতেই হবে।’’ হিতাচি এয়ার কন্ডিশনিং ইন্ডিয়ার সিএমডি গুরমিত সিংহও জানিয়েছেন, এপ্রিলের মধ্যে তাঁদের বিভিন্ন মডেলের পণ্যের দাম ১০% পর্যন্ত বাড়ানো হবে।