PMI

উৎপাদনে উদ্বেগ, রাজনৈতিক তরজা

নভেম্বরে দেশের উৎপাদন ক্ষেত্রের গতি কমার ইঙ্গিত দিল এইচএসবিসি ইন্ডিয়া ম্যানুফ্যাকচারিং পার্চেজ়িং ম্যানেজার্স ইন্ডেক্স বা পিএমআই সূচক। ৫৬.৫-এ নেমে তা হয়েছে ১১ মাসের সর্বনিম্ন।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:১৭
Share:
দেশের বাজারে পণ্যের চাহিদা কমার বিরূপ প্রভাব পড়েছে উৎপাদন ক্ষেত্রে।

দেশের বাজারে পণ্যের চাহিদা কমার বিরূপ প্রভাব পড়েছে উৎপাদন ক্ষেত্রে। —প্রতীকী চিত্র।

একের পর এক উদ্বেগের খবর!

দেশের খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার চড়েছে ৬.২১ শতাংশে। চড়া দামের ধাক্কায় জুলাই-সেপ্টেম্বরে ডিজিপি বৃদ্ধির হার হয়েছে ৫.৪%। যা দু’বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ বার নভেম্বরে দেশের উৎপাদন ক্ষেত্রের গতি কমার ইঙ্গিত দিল এইচএসবিসি ইন্ডিয়া ম্যানুফ্যাকচারিং পার্চেজ়িং ম্যানেজার্স ইন্ডেক্স বা পিএমআই সূচক। ৫৬.৫-এ নেমে তা হয়েছে ১১ মাসের সর্বনিম্ন। সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, দেশের বাজারে পণ্যের চাহিদা কমার বিরূপ প্রভাব পড়েছে উৎপাদন ক্ষেত্রে। পিএমআই সূচকে সেটাই স্পষ্ট হয়েছে। সে ক্ষেত্রে অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকের জিডিপি-র পরিসংখ্যানেও এর প্রভাব পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে সরকার ও রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস অনুযায়ী গোটা অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) বৃদ্ধির হার ৭% ছোঁয়া মুশকিল। যদিও সোমবার কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরনের দাবি, বছরের দ্বিতীয়ার্ধে অর্থনীতির গতি বাড়তে পারে। এ দিন অর্থনীতি নিয়ে বিজেপি ও কংগ্রেস পরস্পরকে তোপ দেগেছে। বিজেপির অভিযোগ, ‘অর্ধসত্য’ তথ্য দিয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

এমনিতে পিএমআই সূচক ৫০-এর বেশি থাকার অর্থ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বৃদ্ধি। কম হওয়া মানে সঙ্কোচন। সেই অর্থে নভেম্বরের সূচকে বৃদ্ধির ইঙ্গিতই রয়েছে। তবে সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশে চাহিদা বৃদ্ধির ফলে ভারতের রফতানি ক্ষেত্রে গতি ফিরেছে বটে, কিন্তু জিনিসপত্রের চড়া দামের জন্য দেশের বাজারে বিক্রিবাটা কমেছে। তার প্রভাব পড়েছে সূচকে।

এ দিন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেন, ১০ বছর আগে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প চালু করে দাবি করা হয়েছিল, উৎপাদনকে চাঙ্গা করে ভারতকে বিশ্বের রফতানি তালুক হিসেবে গড়ে তোলা হবে। কিন্তু বাস্তবে আর্থিক বৃদ্ধি, উৎপাদন এবং রফতানি সবই নিম্নমুখী। কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টার অবশ্য দাবি, দেশের ৬.৫%-৭% বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে এর গতি বাড়তে পারে। গত এক দশকে পরিকাঠামো, সমস্ত স্তরের মানুষের কাছে আর্থিক পরিষেবার সুযোগ পৌঁছে দেওয়ার মতো যে সমস্ত পদক্ষেপ সরকার করেছে তার প্রভাবেই অর্থনীতির অগ্রগতি সম্ভব।

অন্য দিকে, গত রবিবার জিডিপির পরিসংখ্যান নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে রাহুল বলেন, যত দিন অর্থনীতির সুফল হাতে গোনা কয়েক জন বিত্তশালীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে তত দিন পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। এই প্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতার মন্তব্যকে ‘অপরিণত’ মানসিকতার ফল বলে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা অমিত মালব্য আমেরিকা (২.৮%), ইউরো অঞ্চল (০.৯%) এবং চিনের (৪.৬%) বৃদ্ধির হারকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন