ফাইল ছবি
সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী মার্চ-এপ্রিলেই কলকাতায় পাইপলাইনের মাধ্যমে আসতে পারে গেলের প্রাকৃতিক গ্যাস। হুগলির রাজারামবাটি ও নদিয়ার গয়েশপুর পর্যন্ত গেলের পাইপলাইন তৈরির পরে হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম (এইচপিসিএল) ও বেঙ্গল গ্যাস (বিজিসিএল) তাদের আলাদা পাইপলাইনের মাধ্যমে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় সেই গ্যাস সরবরাহ করবে। গয়েশপুরে গেলের লাইন আসবে গঙ্গার নীচে দিয়ে। সেই কাজ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার আশা।
দেশ জুড়ে প্রাকৃতিক গ্যাস বণ্টনের পরিকাঠামো (সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন) গড়তে নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকা ভাগ করে বরাত দেয় সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রক পিএনজিআরবি। এ রাজ্যের সব জেলার ক্ষেত্রেই বরাতের প্রক্রিয়া সারা। বিজিসিএল, আইওসি-আদানি গোষ্ঠী, এইচপিসিএল, ইন্ডিয়ান অয়েল ও ভারত পেট্রোলিয়াম বিভিন্ন এলাকার বরাত পেয়েছে। সকলেই গ্যাস নেবে গেলের থেকে।
প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট মহল সূত্রের খবর, পাইপলাইন বসাতে কেন্দ্র ও রাজ্যের নিয়ম-নির্দেশিকা অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দিয়ে জমি ব্যবহারের ছাড়পত্র নিতে হচ্ছে গেল-কে। সেই সময় ধরে গয়েশপুর পর্যন্ত কাজের লক্ষ্য স্থির হয়েছে মার্চ-এপ্রিল। সেখান থেকে গ্রাহক ও ক্রেতার কাছে গ্যাস বিক্রির পরিকাঠামো গড়ছে বিজিসিএল এবং এইচপিসিএল। তারাও ওই সময়ে কিছু এলাকায় সরাসরি ক্রেতাদের পাইপে গ্যাস জোগানোয় আশাবাদী। এইচপিসিএল জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে পাণ্ডুয়া ও গয়েশপুরে ৫০০০টি করে বাড়িতে রান্নার গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হবে। গয়েশপুর থেকে গ্যাস পেলে কল্যাণী, রাজারহাট-নিউটাউন-সহ সংলগ্ন এলাকায় পরিষেবা শুরুর বিষয়ে আশাবাদী বেঙ্গল গ্যাসও।
তবে ছাড়পত্র যেমন মিলছে, তেমনই কিছু ক্ষেত্রে সময়ও লাগছে বলে খবর সংশ্লিষ্ট মহলের। যেমন রাজারামবাটি থেকে হাওড়া হয়ে হলদিয়ার অংশে ছাড়পত্র মিললেই গেলের পাইপলাইনের কাজ শুরুর কথা। সাধারণত তা পেলে মাসে ১৫ কিমি করে লাইন বসাতে সক্ষম সংস্থা। জমির মালিক, সড়ক কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় প্রশাসনের থেকে ছাড়পত্র নিতে হয় বণ্টন সংস্থাগুলিকেও। এইচপিসিএল সূত্রের দাবি, গয়েশপুর পুরসভার ছাড়পত্র বছরখানেক ধরে মেলেনি। রাজ্যের পূর্ত দফতরের সহযোগিতার কথা বললেও রেল ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের থেকে সম্মতি পেতে সময় লাগছে। বিজিসিএল-ও বলছে দ্রুত ছাড়পত্র জরুরি। নবান্ন অবশ্য দ্রুততার সঙ্গে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে।