জাতীয় পেনশন প্রকল্পের (ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম বা এনপিএস) গ্রাহকেরা যাতে ন্যূনতম নিশ্চিত রিটার্ন পেতে পারেন, তার জন্য নির্দিষ্ট প্রকল্প তৈরির পদক্ষেপ শুরু করল পেনশন ফান্ডের নিয়ন্ত্রক পিএফআরডিএ। এর জন্য পেনশন ফান্ড সংস্থাগুলির থেকে আগ্রহপত্র চেয়েছে তারা। চাওয়া হয়েছে প্রস্তাবিত প্রকল্পের কাঠামোও।
এনপিএসে যুক্ত হওয়ার পর থেকে অবসরের সময় পর্যন্ত গ্রাহকেরা প্রতি মাসে ওই তহবিলে লগ্নি করেন। আর মেয়াদ শেষে জমা হওয়া অঙ্কের সর্বোচ্চ ৬০% পর্যন্ত ফেরত পেতে পারেন তাঁরা। বাকি টাকা দিয়ে অ্যানুয়িটি প্রকল্পের গ্রাহক হওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে প্রত্যেক মাসে পেনশন মেলে। জানুয়ারির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এনপিএসের পরিচালিত তহবিল (অ্যাসেট আন্ডার ম্যানেজমেন্ট) এখন ২.৯১ লক্ষ কোটি টাকা। আর প্রকল্পটির গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ১.২১ কোটি।
সূত্রের খবর, এই পেনশনের অঙ্ক বা রিটার্নের হার যাতে নিশ্চিত হয় তার জন্য পদক্ষেপ শুরু করেছে নিয়ন্ত্রক। পেনশন ফান্ড সংস্থাগুলি তাদের প্রস্তাবিত কাঠামো জমা দেওয়ার পরে তা পরীক্ষা করা হবে। তার পরেই তৈরি হবে প্রকল্পের চূড়ান্ত কাঠামো। এই সমস্ত প্রক্রিয়া কত দিনের মধ্যে শেষ হবে অথবা প্রকল্প কবে শুরু
হতে পারে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে সেই প্রকল্পে সময়সীমা, এগ্জ়িট লোড (নির্ধারিত সময়ের আগে পুঁজি তুলে নেওয়ার খরচ), এক ধরনের প্রকল্প থেকে অন্য ধরনের প্রকল্পে যাওয়ার সুযোগ থাকতে পারে। সংস্থাগুলি আনুমানিক কী রকম রিটার্ন দিতে পারবে, তা-ও বুঝতে চাইছে নিয়ন্ত্রক পিএফআরডিএ।
উল্লেখ্য, অন্তর্বর্তী বাজেটে অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের জন্য মাসে ন্যূনতম ৩,০০০ টাকা পেনশনের প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এর পরে প্রভিডেন্ট ফান্ডের অছি পরিষদের বৈঠকে কর্মী সংগঠনগুলি দাবি তোলে, পিএফের ন্যূনতম পেনশনের অঙ্ক আর ৩,০০০ টাকার নীচে হতে পারে না। উল্লেখ্য, ওই পেনশনের অঙ্ক এখন ১,০০০ টাকা। বিষয়টি নিয়ে শীঘ্রই ফের অছি পরিষদের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। এই প্রেক্ষিতে পেনশন প্রকল্পের নিয়ন্ত্রকের উদ্যোগ তাৎপর্যপূর্ণ।