—ফাইল চিত্র।
আশঙ্কা ছিলই। যা সত্যি করে কলকাতায় ৮৫ টাকা পার করল পেট্রলের দাম। আজ ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে তা বিক্রি হচ্ছে লিটার পিছু ৮৫.১৯ টাকায়। রবিবারের থেকে ২৯ পয়সা বেশি। রেকর্ডমুখী দৌড় বহাল রেখে ডিজেল ২৬ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৭৭.৪৪ টাকা। সংশ্লিষ্ট মহলের ভয়, এই দফার দৌড়ে বছর শেষের আগেই না নতুন রেকর্ড গড়ে ফেলে জ্বালানি দু’টির দর। এর আগে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর শহরে ৮৫.৮০ টাকা হয়েছিল পেট্রল। এখনও পর্যন্ত ওটাই সর্বোচ্চ। ওই বছর ১৬ ও ১৭ অক্টোবর ডিজেল পৌঁছেছিল ৭৭.৫৪ টাকায়। যা রেকর্ড।
অনেকের প্রশ্ন, করোনাজনিত আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে তেলের দাম এত বাড়ার পরেও কেন তাতে রাশ টানছে না কেন্দ্র? ২০ নভেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত কলকাতায় লিটারে পেট্রল বেড়েছে ২.৬০ টাকা, ডিজেল ৩.৪৫ টাকা। কংগ্রেসের দাবি, আমজনতার ভালর জন্য বর্ধিত দর এখনই ফেরানো হোক। একাংশের তোপ, বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল তলানিতে থাকার সময়ে উৎপাদন শুল্ক বাড়িয়ে কেন্দ্র রাজকোষ ভরেছে। এখন যখন বিশ্ব বাজারে দাম চড়ছে, তখন শুল্ক কমিয়ে সুরাহার বন্দোবস্ত করা তাদের কর্তব্য নয় কি? রবিবার রাতে ব্যারেল পিছু ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ছিল ৪৯.২৫ ডলার।
রবিবার তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, তাঁর আশা তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেক সম্প্রতি দৈনিক উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ভারতের সুবিধা হবে। স্থিতিশীল হবে জ্বালানির দাম। সংশ্লিষ্ট মহলের আশঙ্কা, ডিজেলের দাম বাড়ায় পরিবহণের খরচ বাড়বে। যা খাদ্যপণ্য ও আনাজের আগুন দাম কমার পথে বাধা তৈরি করতে পারে। ফলে আখেরে ভুগবেন সেই সাধারণ মানুষই।