Pakistan Stock Exchange Shut Down

পহেলগাঁও কাণ্ডে ভারতের পাঁচ প্রত্যাঘাতেই কাঁপুনি শুরু, তড়িঘড়ি শেয়ার বাজারে ‘তালা দিল’ পাকিস্তান!

পহেলগাঁওকাণ্ডের পর সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত থেকে শুরু করে ভিসা বাতিল এবং আটারি সীমান্ত বন্ধ করা-সহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে নয়াদিল্লি। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ভারতের ওই প্রত্যাঘাতের সঙ্গে সঙ্গেই রক্ষণাবেক্ষণের ‘অজুহাত’ দিয়ে করাচির শেয়ার বাজার বন্ধ করে ইসলামাবাদ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১১:১১
Share:
Representative Picture

—প্রতীকী ছবি।

জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারতের কূটনৈতিক প্রত্যাঘাতে বেসামাল পাকিস্তান। হঠাৎ করেই বন্ধ হল করাচির শেয়ার বাজার। ফলে ১,৩০০ পয়েন্ট নিম্নমুখী হয়েছে সে দেশের স্টকের সূচক। শতাংশের নিরিখে যা ১.১ বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে, তাতে সূচকের উপরে ওঠার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

Advertisement

বুধবার, ২৩ এপ্রিল, লেনদেন চলাকালীন ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে পাঁচ দফা পদক্ষেপ করে নয়াদিল্লি। সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ হয়ে যায় পাকিস্তানের স্টক এক্সচেঞ্জ (পিএসএক্স)। শুধু তা-ই নয়, ওই সময়ে শেয়ার বাজারের ওয়েবসাইটে লেখা ছিল দু’টি বাক্য। সেগুলি হল, ‘‘আমরা খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসছি। রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলায় পরবর্তী নোটিস না দেওয়া পর্যন্ত পিএসএক্সের সাইট বন্ধ রাখা হচ্ছে।’’ এর পর আর বাজার খুললেও পাক স্টকের সূচকে নামে ধস।

বিশ্লেষকদের দাবি, ভারতের নেওয়া পদক্ষেপে ইসলামাবাদের বড় ধরনের আর্থিক লোকসানের সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, ইতিমধ্যেই ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করেছে নয়াদিল্লি। শুধু তা-ই নয়, এই চুক্তি ভেঙে নয়াদিল্লি বেরিয়ে গেলে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের সেচ ব্যবস্থা। সে ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সঙ্কটে বিপর্যস্ত পাকিস্তানের ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হতে পারে। কারণ, সিন্ধু ও তার উপনদীগুলির জলের উপরেই ইসলামাবাদের ৮০ শতাংশ কৃষি নির্ভরশীল।

Advertisement

দ্বিতীয়ত, পহেলগাঁও হামলার ঘটনায় আট্টারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। উপযুক্ত নথিপত্র নিয়ে যাঁরা এই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের ১ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে এই সীমান্ত দিয়েই তাঁদের ফিরে যেতে হবে। এতে বাণিজ্যিক ভাবে ইসলামাবাদের মার খাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আর্থিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এ সব বুঝতে পেরেই রক্ষণাবেক্ষণের বাহানা দিয়ে শেয়ার বাজার বন্ধ করেছে পাক সরকার। নইলে সূচকের আরও বেশি পরিমাণে পতন দেখতে পাওয়া যেত। যদিও গোটা বিষয়টিকে কাকতালীয় বলে উড়িয়ে দিয়েছে ইসলামাবাদ। তবে সরকারি ভাবে আলাদা করে কোনও বিবৃতি দেয়নি তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement