ইন্ডিয়ান অয়েলের পারাদীপ তেল শোধনাগার প্রকল্পে করছাড় ফেরানোর সিদ্ধান্তে অটল ওড়িশা সরকার। ৩৪,৫৫৫ কোটি টাকার এই প্রকল্পে করছাড় বাতিল হলে ধাক্কা খাবে লগ্নিকারীদের কাছে রাজ্যের ভাবমূর্তি। আর, তা ভবিষ্যতে রাজ্যে লগ্নি টানার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের কাছে চিঠি লিখে আশঙ্কা জানিয়েছে বণিকসভা সিআইআই।
প্রসঙ্গত, গত বছর ৭ ফেব্রুয়ারি শোধনাগারটির উদ্বোধন করেন প্রধান -মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২৪ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিংহ রাওয়ের আমলে প্রথম প্রস্তাবিত পারাদীপের শোধনাগারটির ২০০০ সালে শিলান্যাস করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী।
সিআইআই প্রেসিডেন্ট নৌশদ ফোর্বস ওই চিঠিতে লিখেছেন, ‘‘বিনিয়োগ টানার জন্য লগ্নিকারীদের মন বোঝা অত্যন্ত জরুরি। আর, এ ব্যাপারেই আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। লগ্নি টানতে বহু ক্ষেত্রেই উৎসাহ দেওয়ার নীতি বহাল রয়েছে। সেগুলি না-মেনে চললে ভবিষ্যতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে শিল্পে।’’
উল্লেখ্য, প্রথম বার কারণ দর্শানোর নোটিস জারির দু’মাসেরও কম সময়ে ওড়িশা গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইন্ডিয়ান অয়েলকে জানিয়ে দেয়, ১১ বছর ধরে পারাদীপ শোধনাগারে তৈরি পণ্যের উপর ওড়িশায় বিক্রয়-করে ছাড় দেওয়ার সুবিধা বাতিল করা হচ্ছে। এর জন্য দু’টি কারণের উল্লেখ করে তারা: প্রথমত, পারাদীপ তেল শোধনাগার প্রকল্প চালু হতে ছ’বছর দেরি হওয়া। দ্বিতীয়ত, শোধনাগারের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা আগের চুক্তি থেকে সরে এসে ৯০ লক্ষ টন থেকে বাড়িয়ে দেড় লক্ষ টন করা।
এই দু’টি অভিযোগই অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন আইওসি কর্তৃপক্ষ। উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর প্রসঙ্গে সংস্থার দাবি, ২০০৬ সালেই তারা রাজ্যকে লিখিত ভাবে শোধনাগারের আয়তন বাড়ানোর কথা জানিয়েছিল।