—প্রতীকী চিত্র।
কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বকেয়া জিএসটি-র টাকা মেটানোর নোটিস পাওয়ার পরেও যে ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাতে পারেননি, তাঁদের সামনে এ বার সেই সুযোগ খুলল। এর জন্য এককালীন ক্ষমার (অ্যামনেস্টি) প্রকল্প আনল অর্থ মন্ত্রক। যা চালু থাকবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর পর্ষদ (সিবিআইসি)। ফলে ওই দিনের মধ্যে কর কর্তৃপক্ষের পাঠানো বকেয়া মেটানোর হিসাব পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাতে পারবেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এর আগে আবেদনের শেষ তারিখ ছিল গত ৩১ মার্চ।
রাজ্যে ব্যবসায়ীদের সংগঠন কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশীল পোদ্দার বলেন, “কেন্দ্রের ওই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছি। বকেয়া করের হিসাব নিয়ে অনেকেরই আপত্তি আছে। এই সুযোগ তাঁদের অসন্তোষ কমাবে। তবে উৎসবের মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। তাই ক্ষমা প্রকল্পের সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ মার্চ করার আর্জি জানাচ্ছি।’’ কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ জিএসটি কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আইনি বিবাদ কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে বলেও মন্তব্য করছেন এএমআরজি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের সিনিয়র পার্টনার রজত মোহন।
বর্তমানে কোনও করদাতার কাছে বকেয়া কর দাবি করে জিএসটি কর্তৃপক্ষ নোটিস পাঠালে, তা আবার বিবেচনার জন্য তিন মাসের মধ্যে আবেদন করা যায়। গত ৭ অক্টোবর জিএসটি পরিষদের বৈঠকে ওই অ্যামনেস্টি প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। তবে এর সুবিধা নিতে হলে কর কর্তৃপক্ষের নোটিসে উল্লেখ করা বকেয়া করের ১২.৫% আগাম জমা দিতে হবে আবেদনকরীকে। বর্তমানে দিতে হয় ১০%।
সুশীলবাবু বলেন, “জিএসটি চালু হওয়ার পরে অনেকের পক্ষেই আইনটি বুঝে তা সঠিক ভাবে মেনে চলা সম্ভব হয়নি। এর ফলে বহু ব্যবসায়ীই রিটার্ন জমা-সহ কিছু ক্ষেত্রে ভুল-ভ্রান্তি করে ফেলেছেন। কিন্তু জিএসটি কর্তৃপক্ষ রেয়াত করছেন না। এমনকি ২০১৭-১৮ সালে করা ভুলের জন্যেও এখন জরিমানার নোটিস পাঠাচ্ছেন। এই ক্ষেত্রেও এককালীন ক্ষমার প্রকল্প চালু করা হলে ব্যবসায়ী মহল উপকৃত হবে। আমরা কেন্দ্রের কাছে সেই দাবি জানাব।’’