—প্রতীকী চিত্র।
বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্কট এবং আর্থিক মন্দার আশঙ্কার প্রেক্ষিতে অশোধিত তেল উৎপাদন এবং রফতানিকারী দেশগুলির সংগঠন ওপেক-এর কাছে ক্রেতা দেশগুলির প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন তেলমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। যে তালিকার অন্যতম ভারত। কিন্তু জোগান বাড়িয়ে তেলের দাম কমানোর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সেই বার্তায় যে বিন্দুমাত্র কান দেওয়া হয়নি, তা স্পষ্ট হল বুধবার। ওপেক গোষ্ঠীর অন্যতম দেশ সৌদি আরব জানাল, তারা চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত দিনে ১০ লক্ষ ব্যারেল উৎপাদন ছাঁটাই করে যাবে। যাতে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম পড়তে না পারে। প্রয়োজনে দৈনিক উৎপাদন আরও কমানোরও ইঙ্গিত দিয়েছে তারা।
গত সপ্তাহে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল এক বার ব্যারেল পিছু ৯৭ ডলার ছুঁয়েছিল। তবে বুধবার তা নেমেছে ৮৫ ডলারে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের আশঙ্কা, ওপেকের বার্তায় দাম চড়তে পারে। ফলে ভারতের মতো তেলে আমদানি নির্ভর দেশের দুশ্চিন্তা বাড়ল। কারণ এতে আমদানি খরচ বাড়তে পারে। বানচাল হতে পারে মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানার প্রক্রিয়া। সৌদি তেল মন্ত্রক বলেছে, উৎপাদন ছাঁটাই জারি থাকছে। নভেম্বর-ডিসেম্বরেও দৈনিক ৯০ লক্ষ ব্যারেল তেল উৎপাদিত হবে। সূত্রের দাবি, আগামী মাসে এই সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করে উৎপাদন আরও কমানোর বা বাড়ানোর কথা ভাবা হবে।
এ দিকে, রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি ১৮ মাস ধরে দাম স্থির রাখলেও, হালে বেসরকারি তেল সংস্থা শেল ইন্ডিয়ার পাম্পে তেলের দাম বেড়েছে। এক সপ্তাহেরও কম সময়ে ডিজ়েল লিটার প্রতি ২০ টাকা বাড়িয়েছে তারা।