GPO Office

বদলের বার্তা জিপিও-র

সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, টিকে থাকতে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগোনো জরুরি। ডিজিটাল বিপ্লবে শামিল ভারতে সেই ক্ষমতা জিপিও অর্জন করতে পেরেছে কি না, তা খতিয়ে দেখার সময় এটা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:৫৫
Share:
An image of GPO

কলকাতা জিপিও অফিস। —ফাইল চিত্র।

ফোর্ট উইলিয়ামে ১৭৭৪-এর ৩১ মার্চ ‘জেনারেল পোস্ট অফিস’ বা জিপিও চালু করেছিলেন তৎকালীন বাংলার গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস। বিভিন্ন জায়গায় স্থানান্তরিত হয়ে সব শেষে সেটি বর্তমান ভবনে থিতু হয়। এখনও সেখান থেকেই পরিষেবা দেয় ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলের (পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, আন্দামান-নিকোবর নিয়ে) এই প্রধান ডাকঘর। তাদের ২৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষেই একগুচ্ছ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ডাক বিভাগের ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কল।

সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, টিকে থাকতে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগোনো জরুরি। ডিজিটাল বিপ্লবে শামিল ভারতে সেই ক্ষমতা জিপিও অর্জন করতে পেরেছে কি না, তা খতিয়ে দেখার সময় এটা। বিশেষত ই-মেল, হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্রযুক্তি নির্ভর যোগাযোগ ব্যবস্থা যখন প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে চিঠি বিলির প্রয়োজনীয়তাকে। সম্প্রতি জিপিও-র লোগো উদ্বোধন করে ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলের চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল নীরজ কুমারের দাবি, বদলেছে ডাক পরিষেবাও। প্রযুক্তি নির্ভরতা বেড়েছে। পরিষেবার মাধ্যম হয়েছে মোবাইল বা কম্পিউটার। ছোট শহরেও ছড়াচ্ছে ডাকে ‘পার্সেল’ পাঠানোর ব্যবসা। প্রচলিত পরিষেবায় জোর দেওয়া হচ্ছে। শ্রমিকদের জন্য দুর্ঘটনা বিমা-সহ (অন্ত্যোদয় শ্রমিক সুরক্ষা যোজনা বিমা প্রকল্প) বিভিন্ন সুবিধাও আনা হয়েছে।

ডাক বিভাগ কর্তৃপক্ষের দাবি, সমাজের সঙ্গে ডাকঘরের যোগসূত্র গড়ে ওঠার বিষয়টিই রূপ পেয়েছে তাঁদের লোগোয়। তাই তাতে জিপিও-র পরিচিত গম্বুজের সঙ্গে রয়েছে হাওড়া ব্রিজও। নীরজ জানান, ১৪-১৯ মার্চ পর্যন্ত চলবে ২৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান। আঁকা, ছবি তোলার মতো বিভিন্ন প্রতিষোগিতার পাশাপাশি একাধিক বিশেষ ‘কভার’ প্রকাশ করা হবে। প্রদর্শনী চলবে ট্রামেও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন