aadhaar card

আধার দিয়ে টাকা তোলার ব্যবস্থা বন্ধ

সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে, বহু গ্রাহকের আধারের বায়োমেট্রিক তথ্য হিসেবে দেওয়া আঙুলের ছাপ চুরি করছে প্রতারকেরা। তার পরে তাঁদের আধার ব্যবহার করে টাকা হাতাচ্ছে।

Advertisement

প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৬:৪৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

ব্যাঙ্কগুলিকে আঙুলের ছাপ দিয়ে আধার যাচাই করে টাকা তোলার ব্যবস্থা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে ন্যাশনাল পেমেন্টসেেে কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (এনপিসিআই)। তারাই অনলাইনে টাকা মেটানোর বিষয়টি দেখাশোনা করে। এনপিসিআই নির্দেশিকায় বলেছে, এ জন্য আধার দিয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার সুবিধা বা আধার এনেবেলড পেমেন্ট সিস্টেম (এইপিএস) ‘ব্লক’ করতে হবে বা আটকে দিতে হবে। ব্যাঙ্কগুলি তা করতে শুরুও করেছে। অনেকে বিজ্ঞপ্তি পাঠাচ্ছে গ্রাহকদের। তবে গ্রাহক চাইলে এই সুবিধা চালু রাখতে ব্যাঙ্কে আবেদন করতে পারবেন।

Advertisement

সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছে, বহু গ্রাহকের আধারের বায়োমেট্রিক তথ্য হিসেবে দেওয়া আঙুলের ছাপ চুরি করছে প্রতারকেরা। তার পরে তাঁদের আধার ব্যবহার করে টাকা হাতাচ্ছে। এনপিসিআইয়ের দাবি, এই ধরনের প্রতারণা রুখতেই এমন নির্দেশ।

ব্যাঙ্কিং সূত্রের খবর, প্রায় ৯০% ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার যুক্ত। গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে আধার কার্ড ও আঙুলের ছাপ দিয়ে সেগুলি থেকে এক দফায় ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারেন গ্রাহক। একই দিনে একাধিক দফায় টাকা তোলা যায়। এই ব্যবস্থাই এইপিএস। গ্রামে ব্যাঙ্ক বা এটিএমের অভাব থাকায়, এইপিএস ব্যবস্থায় ব্যাঙ্ক মিত্র-র মাধ্যমে ঘরে বসে টাকা তোলার পরিষেবা পান গ্রাহক।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট মহলের অভিযোগ, জমি রেজিস্ট্রেশন বা অন্য কিছু ক্ষেত্রে আধার মারফত পরিচয় যাচাইয়ের সময় আঙুলের ছাপ লাগে। সেখান থেকেই হয়তো তা চুরি হচ্ছে। অভিযোগ সামনে আসার পরে বহু কর্মী সংগঠন অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার যোগের বিরুদ্ধে সরব হয়। সূত্রের খবর, ঘরোয়া বৈঠকে অনেক ব্যাঙ্ক কর্তা এইপিএসের ঝুঁকি মেনেছেন। সমাজের নানা ক্ষেত্রের মানুষের যৌথ সংগঠন ব্যাঙ্ক বাঁচাও দেশ বাঁচাও মঞ্চের আহ্বায়ক সৌম্য দত্ত বলেন, ‘‘ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার জোড়ার আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। তবু তা করতে বাধ্য করছে ব্যাঙ্কগুলি। ওই সুযোগে প্রতারণা বাড়ছে। তবে এইপিএস বন্ধ করার পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছি।’’

অল ইন্ডিয়া ন্যাশনালাইজ়ড ব্যাঙ্ক অফিসার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেন, এইপিএস সকলের কাছে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছতে সহায়ক হয়েছে বটে। তবে তা আটকে দেওয়াও জরুরি ছিল। প্রতারণা থেকে বাঁচবেন অনেকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement