এ বার বেআইনি ভাবে সংস্থার গোপন তথ্য ব্যবহার করে মুনাফা করার জন্য ফেসবুকের অ্যাকাউন্টকে প্রমাণ হিসেবে পেশ করল সেবি। শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রকের দাবি, ফেসবুকের ‘মিউচুয়াল ফ্রেন্ডস’-এর মাধ্যমে বেআইনি লেনদেন করে মুনাফা করেছে কিছু ব্যক্তি। যাদের অ্যাকাউন্টে তল্লাশিও শুরু করেছে তারা। প্রসঙ্গত, এর আগে টুইটার বা ফেসবুকের প্রোফাইলগুলি তদন্তের কাজে ব্যবহার করলেও, এই প্রথম কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগের ক্ষেত্রে ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়াকে প্রমাণ হিসেবে পেশ করল সেবি।
২০১২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বেআইনি ভাবে পালরেড টেকনোলজিসের শেয়ার লেনদেন করা হয় বলে অভিযোগ এনেছিল শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রকটি। যার থেকে ১৫ জন ব্যক্তি দেড় কোটি টাকারও বেশি মুনাফা করে বলে অভিযোগ। সুদ-সহ যার অঙ্ক ২ কোটিরও বেশি বলে জানিয়েছে সেবি। যা তাঁদের অবিলম্বে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে তারা।
সেবির অভিযোগ, এই লেনদেনে অন্যতম অভিযুক্ত পিরানি আমিন আবদুল আজিজ ফেসবুকের মাধ্যমে আমিন খাজা-র সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ডেলয়েট ট্যাক্স সার্ভিসেস-এ চাকরিরত থাকার সময়ে তিনি এই কাজ করেন। তখন ডেলয়েটই পালরেড টেকনোলজিকের শেয়ার লেনদেন দেখাশোনা করত।