—ফাইল চিত্র
নোটবাতিল এবং তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর জেরে আগে থেকেই বিপর্যস্ত হয়েছিল ছোট ও মাঝারি শিল্প (এমএসএমই)। তার উপরে থাবা বসিয়েছে করোনা। এর জেরে তৈরি হওয়া আর্থিক সঙ্কট যুঝতে সরকার তাদের জন্য ত্রাণ প্রকল্প আনার কথা জানালেও, তার কতটা আদতে এমএসএমই-র কাজে এসেছে, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়ে। সোমবার কলকাতায় ভারত চেম্বারের ১২০তম বার্ষিক সভায় ছোট শিল্পমন্ত্রী নিতিন গডকড়ীকেও সেই বার্তাই দিল শিল্প। কেন্দ্রের কিছু পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েও বণিকসভার বক্তব্য, শর্তের গেরোয় ত্রাণ প্রকল্পে কর ছাড়ের সুবিধা পায়নি বহু ছোট সংস্থা। তেমনই শিল্পের পক্ষে অন্তরায় লাল ফিতের ফাঁস এবং ইন্সপেক্টর-রাজও। গডকড়ী যদিও অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে ছোট শিল্পের বকেয়া-সহ সমস্যাগুলির সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
এ দিন আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্প, ছোট শিল্পের সংজ্ঞা বদল, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার থেকে নির্দিষ্ট সময়ে তাদের বকেয়া পাওয়ার মতো কেন্দ্রের পদক্ষেপকে স্বাগত জানান বণিকসভার প্রেসিডেন্ট রমেশ কুমার সারাওগি ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এন জি খেতান। কিন্তু সেই সঙ্গে শিল্পের, বিশেষত এমএসএমই-র সমস্যার কথা জানিয়েছেন তাঁরা। সারাওগির বক্তব্য, যে শর্তে ত্রাণ প্রকল্পে কর ছাড়ের সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তার বাইরে থেকে গিয়েছে এই শিল্প। উল্টে সুবিধা পেয়েছে মূলত বড় সংস্থা।
আর খেতানের মতে, অনুৎপাদক সম্পদ বৃদ্ধি ও ব্যাঙ্ক ‘ফেল’ হওয়ার মতো ঘটনা রোধে জোর দেওয়া দরকার। তেমনই জরুরি আইন ও নিয়মের সরলীকরণ। তাঁর দাবি, কেন্দ্র ও রাজ্যস্তরে কয়েক হাজার আইন ও নিয়ম চালু রয়েছে। এর মধ্যে দৈনিক আটটি করে আইন ও বার্ষিক ২৫০০টি নিয়ম বদলায়। ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে এমএসএমই।
শিল্পের বার্তা
• অতিমারির আগে থেকেই নোটবন্দি এবং তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর ধাক্কা সইতে হয়েছে ছোট শিল্পকে (এমএসএমই)।
• কেন্দ্র নানা পদক্ষেপ করলেও, চাহিদার
অভাবে ভুগছে তারা।
• রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার থেকে এখনও পাওনা বাকি।
• সমস্যা হচ্ছে বন্ধকহীন ঋণ পেতেও।
• ভোগাচ্ছে বারবার নিয়ম বদলের সিদ্ধান্ত।
• ১.৫ লক্ষ কোটি টাকার
কর ছাড় প্রকল্পের সুবিধা মূলত পেয়েছে বড় সংস্থা।
• শিল্পের দাবি, লাইসেন্স-রাজ গিয়েছে। ইন্সপেক্টর-রাজও যাওয়া উচিত।
এ দিন ছোট শিল্পের বকেয়া সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন গডকড়ী। বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতি পাঁচ লক্ষ কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়া ও বিকল্প জ্বালানিতে জোর দেওয়ার কথাও।