সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী ফাইল চিত্র।
পুরনো গাড়ি বাতিলের নীতি আনার কথা বাজেটেই ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। রবিবার সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর দাবি, এর আওতায় পুরনো গাড়ি বাতিল করে নতুন কিনলে ক্রেতারা সেই নতুন গাড়ির উপরে সংস্থাগুলির থেকে ৫ শতাংশের কাছাকাছি ছাড় পাবেন। মন্ত্রী এ কথা বললেও অবশ্য বিষয়টি নিয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়াম। আজ তারা জানিয়েছে, নীতির খুঁটিনাটি দেখেই মন্তব্য করা হবে।
কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত নতুন নীতির খসড়া প্রকাশ করেনি। তবে গডকড়ী বলেছেন, এই নীতি বাধ্যতামূলক। যার আওতায় কেনার নির্দিষ্ট সময় পরে (ব্যক্তিগত গাড়িতে ২০ বছর এবং বাণিজ্যিক গাড়ির ক্ষেত্রে ১৫ বছর) স্বয়ংক্রিয় ফিটনেস পরীক্ষা করতে হবে সব গাড়ির। পুরনো গাড়িতে বসানো হতে পারে দূষণ কর। সেই সঙ্গে গাড়ি বাতিল করলে ক্রেতাকে দেওয়া হবে বিশেষ সুবিধাও। এই প্রসঙ্গেই তাঁর দাবি, বিশেষ সুবিধা হিসেবে সংস্থাগুলি নতুন গাড়ি কিনলে ক্রেতাদের ৫ শতাংশের মতো রিবেট দেবে। ফলে শুধু ক্রেতাই নন, বেশি বিক্রির হাত ধরে এই শিল্পেরও উন্নতি হবে।
তবে মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরেও থাকছে কিছু প্রশ্ন। অনেকেই বলছেন, তিনি নীতি বাধ্যতামূলক বলেছেন। কিন্তু তার আওতায় গাড়ি বাতিল করা বাধ্যতামূলক, নাকি শুধুই ফিটনেস পরীক্ষা— সেটা স্পষ্ট নয়। যদি গাড়ি বাতিলই করতে হয়, তা হলে দূষণ কর বা গ্রিন ট্যাক্স বসানোর নিয়ম চালুর কথা কেন বলা হচ্ছে? পুরনো গাড়ি বাতিলের সময়ে সংস্থাগুলির থেকে থেকে ছাড় পাওয়ার কথা বলেছেন গডকড়ী। ফলে করে আদৌ সুরাহা দেওয়া হবে কি না, স্পষ্ট নয় তা-ও। গাড়ি শিল্পও যে কারণে পুরো বিষয়টি না-দেখে মন্তব্য করতে চাইছে না বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।