প্রতীকী চিত্র।
আয়কর মেটানোর জন্য বর্তমান এবং বাজেটে প্রস্তাবিত নতুন মডেলের মধ্যে কোনটি করদাতাদের পক্ষে বেশি সুবিধাজনক, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত ধন্দে খাস বিশেষজ্ঞ মহল। এই প্রেক্ষিতে নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমারের বক্তব্য, ‘‘কোন মডেলটি যুতসই হবে, তা বাছার ব্যাপারে সাধারণ মধ্যবিত্তেরা যথেষ্ট যোগ্য।’’
আগামী অর্থবর্ষে থেকে আয়কর মেটানোর নতুন যে মডেল চালুর কথা অর্থমন্ত্রী বাজেটে বলেছেন, তাতে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে বলে দাবি করেছে কেন্দ্র। কিন্তু করদাতাদের সে ব্যাপারে কী ভাবে সচেতন করা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজীবের মতে, করদাতার পকেটে বেশি টাকা দিয়ে দেওয়া হোক। তার পরে তাঁরাই ব্যয়-সঞ্চয়ের সিদ্ধান্ত নেবেন।
তবে অনেকের মতে, ওই ভাবনা সরকারের নিজের নীতিরই বিরোধী। কারণ, সাধারণ ভাবে মধ্যবিত্তের হাতে টাকা এলে, তা সঞ্চয় করার পরিবর্তে খরচ করার প্রবণতাই তাঁদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তাই ওই মতুন মডেল চালু হলে সঞ্চয় মার খেতে পারে বলে অনেকের আশঙ্কা।
অর্থনীতিবিদ তথা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক ফাইনান্স অ্যান্ড পলিসির অধ্যাপক ইলা পট্টনায়ক মনে করেন, মধ্যবিত্তের একাংশের দূরদর্শিতার অভাব থাকে। ফলে অনেক সময়েই তাঁরা বৃদ্ধ বয়সের জন্য যথেষ্ট সঞ্চয় করতে পারেন না। তা ছাড়া পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় প্রকল্পের টাকা লগ্নি করার প্রয়োজন হয়। ওই সব কথা মাথায় রেখেই সঞ্চয়ে উৎসাহ দেওয়ার উদ্দেশ্যে কেন্দ্র আয়করের ৮০সি ধারায় সঞ্চয়ের উপর করছাড়ের আইন চালু করেছিল। বাজটে কর মেটানোর নতুন মডেল ওই নীতিরই পরিপন্থী বলে মনে করেন তিনি।