অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। — ফাইল চিত্র।
জিএসটি পরিষদের বৈঠকে বিমার প্রিমিয়ামে কর কমানোর সিদ্ধান্ত হলে দেশে জীবন ও স্বাস্থ্য বিমার খরচ কমবে বলে দাবি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের। সোমবার লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি জানান, জিএসটি পরিষদ গত ৯ সেপ্টেম্বরের বৈঠকে এ জন্য মন্ত্রিগোষ্ঠী তৈরি করেছে। যদি তাদের সুপারিশ অনুসারে পরিষদ কর কমানোর প্রস্তাব দেয়, তা হলে খরচ কমার কথা। কিন্তু কর কমার সুবিধা আদৌ সংস্থাগুলি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছবে কি না এবং সেটা কী ভাবে সরকার নিশ্চিত করবে সেই প্রশ্নের উত্তরে নির্মলার দাবি, প্রতিযোগিতাই সেই খরচ কমা নিশ্চিত করবে। উল্লেখ্য, এখন বিমার প্রিমিয়ামে ১৮% জিএসটি বসে।
পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিমার চড়া প্রিমিয়াম নিয়ে অর্থ মন্ত্রক এ দিন লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব)-এর প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছে, বিমা সংস্থাগুলি যাতে চড়া প্রিমিয়াম আদায় না করে, তার জন্য বিমা নিয়ন্ত্রক আইআরডিএআই গত মার্চ ও মে মাসে দু’টি নির্দেশিকা জারি করেছে। সেই সঙ্গে মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৫ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের স্বাস্থ্য বিমা কেনা প্রবীণ নাগরিকের সংখ্যা ছিল ২.৮৬ লক্ষ। ২০২৩-২৪ সালে বেড়ে ৯.০৩ লক্ষ হয়েছে। সেই সময়ে জীবন ও স্বাস্থ্য বিমায় জিএসটি খাতে সরকারের ঘরে এসেছে মোট ১৬,৩৯৮ কোটি।
এ দিকে, বিমার প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি (এফডিআই) বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে সরকার। তারা চায় ৭৬% থেকে সেই সীমা ১০০ শতাংশে নিয়ে যেতে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে আপত্তি উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রকে করা এক প্রশ্নের উত্তরে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের দেওয়া তথ্য তুলে ধরে লোকসভায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৯-২০ সালে ভারতে ৪৩০০ কোটি ডলারের এফডিআই এসেছিল। সেটাই ২০২৩-২৪ সালে নেমে এসেছে ১০১০ কোটি ডলারে। সুদের হার, লগ্নির পরিবেশ-সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপরে এফডিআই নির্ভর করে বলেও তাঁর দাবি।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে