উদয় কোটাক
সম্প্রতি জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনালের (এনসিএলটি) সায় নিয়ে আইএল অ্যান্ড এফএসের পুরনো পর্ষদ ভেঙেছে কেন্দ্র। বসিয়েছে সরকার মনোনীত ছয় প্রতিনিধিকে। সেই নতুন পর্ষদেরই প্রথম বৈঠক হল বৃহস্পতিবার। লক্ষ্য, পরিকাঠামোয় এই ঋণদাতা সংস্থাটিকে চাঙ্গা করা।
বৈঠক হয়েছে টানা পাঁচ ঘণ্টার। তার পরে পর্ষদ জানিয়েছে, গোষ্ঠী ও তার ৩৪৮টি শাখার মূল্য রক্ষার জন্য সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। সেই লক্ষ্যে নিয়মিত হবে বৈঠক। যাতে দ্রুত ছকে ফেলা যায় সংস্থার এগিয়ে চলার খসড়া রূপরেখা।
৯১ হাজার কোটি টাকা ঋণের বোঝায় জর্জরিত আইএল অ্যান্ড এফএসের পর্ষদ কেন্দ্র ভেঙেছিল কোম্পানি আইনের ২৪১(২) এবং ২৪২ ধারা প্রয়োগ করে। ২০০৯ সালে ঠিক যে ধারায় ৮,০০০ কোটি টাকার আর্থিক জালিয়াতি সামনে আসার পরে সত্যম কম্পিউটারের পর্ষদ অধিগ্রহণ করেছিল তৎকালীন ইউপিএ সরকার। সত্যমের মতোই আইএল অ্যান্ড এফএসের বেলায় সংস্থা পরিচালনায় সরকারের হস্তক্ষেপের যুক্তি ছিল— পর্ষদ যে ভাবে কাজ চালাচ্ছে, তা লগ্নিকারীর স্বার্থের পরিপন্থী। কিন্তু পর্ষদে নতুন নিযুক্ত নন-এগ্জিকিউটিভ চেয়ারম্যান উদয় কোটাকের এ দিন দাবি, সত্যমের সমস্যার তুলনায় অনেক ঘোরালো আইএল অ্যান্ড এফএস সঙ্কট। কোটাক জানান, সঙ্কট সমাধানে পর্ষদ এলআইসি, স্টেট ব্যাঙ্ক, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক, ওরিক্স কর্পোরেশনের মতো সমস্ত শেয়ারহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলবে।
পর্ষদ এ দিন সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান এবং এমডি পদে নিযুক্ত করেছে বিনীত নায়ারকে। সত্যমকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোয় যাঁর হাতের কথা বলেন অনেকে। অডিট কমিটির চেয়ারম্যান পদে উন্নীত হয়েছেন নন্দ কিশোর। জিসি চতুর্বেদী হচ্ছেন রেমুনারেশন (বেতন) কমিটির চেয়ারপার্সন।
কেন্দ্র অভিযোগ, আইএল অ্যান্ড এফএস, তার শাখা ও সহযোগীদের আর্থিক অবস্থা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছিল। প্রায় ২০,০০০ কোটি টাকার এমন সম্পদের কথা বলা হয়েছিল, যা সংস্থার ছিলই না। তাদের দেখানো মোট আয়ের ৫০ শতাংশও সংস্থার ঝুলিতে আসেনি।