রেলের প্রশংসায় যোগ দিয়েছেন নেটাগরিকরা।
ধানবাদ থেকে হাওড়াগামী শতাব্দী এক্সপ্রেসে চেপেছিলেন শাহনাওয়াজ আখতার। নির্দিষ্ট সময়ে চা ও জলখাবার নিয়ে হাজির হন রেলকর্মী। সকলকেই সেই সময়ে সান্ধ্য খাবার দেওয়া হচ্ছিল। শাহনাওয়াজ প্যান্ট্রিকর্মীকে জানান, তাঁকে যেন একটু পরে চা দেওয়া হয়। তিনি উপবাসে রয়েছেন। রেলকর্মী বুঝতে পারেন, রোজা রেখেছেন শাহনাওয়াজ। সেটা নিশ্চিত হওয়ার পরেই ইফতারের নির্দিষ্ট সময়ে নিয়ে আসেন রমজানের উপবাস ভাঙার উপযোগী খাবার।
রেলকর্মীর এই ব্যবহারে আপ্লুত শাহনাওয়াজ গোটা ঘটনা জানিয়ে একটি টুইট করেন। সঙ্গে দেন খাবারের প্লেটের ছবি। ট্যাগ করেন রেলমন্ত্রককে। পরে সেটি রিটুইট করেছেন রেল প্রতিমন্ত্রী দর্শনা জারদোস। তিনি জানিয়েছেন শাহনাওয়াজের এই টুইট দেখে ভারতীয় রেল পরিবারের সকলেই খুশি হয়েছেন। একই সঙ্গে এটিকে কেন্দ্রীয় সরকারের সকলের জন্য সমান মনোভাব পোষণের নজির বলে উল্লখ করেছেন। লিখেছেন, ‘এটি প্রধানমন্ত্রী মোদীর সবকা সাথ, সবকা বিকাশ এবং সবকা বিশ্বাস নীতির একটি সঠিক উদাহরণ।’
শুধু রেল প্রতিমন্ত্রীই নন, নেটাগরিকদের অনেকেই প্যান্ট্রি কর্মীর এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। এই সূত্রে এসেছে সম্প্রতি নবরাত্রির সময়ে রেলের উদ্যোগে সাত্ত্বিক খাবার পরিবেশনের প্রসঙ্গ। অনেকেই রেলের সেই উদ্যোগের সমালোচনা করেছিলেন। সেই সমালোচকদের আক্রমণ করেছেন অনেকে। রেল রমজানের সময়ে অতীতেও এই ভাবে ট্রেনের মধ্যে ইফতারের ব্যবস্থা করেছিল বলে উল্লেখ করেছেন কেউ কেউ। অনেকেই আবার সব ট্রেনেই ইফতারের জন্য এমন বিশেষ পরিষেবার দাবি জানিয়েছেন।