সেরেল্যাক। —ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার কম উন্নত দেশগুলিতে সেরেল্যাকের মতো শিশুখাদ্যে অতিরিক্ত চিনি মেশানোর অভিযোগ উঠেছে সুইৎজ়ারল্যান্ডের বহুজাতিক সংস্থা নেসলের বিরুদ্ধে। এই দেশগুলির তালিকায় ভারতও রয়েছে। এই রিপোর্ট প্রকাশের পরেই এ দেশের খাদ্য সুরক্ষা নিয়ন্ত্রক এফএসএসএআই-কে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলে ক্রেতা সুরক্ষা নিয়ন্ত্রক (সিসিপিএ)। তবে নেসলে ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুরেশ নারায়ণনের দাবি, সারা বিশ্বে ১৮ মাসের কম বয়সি শিশুদের খাবারের উৎপাদন প্রক্রিয়া অভিন্ন। তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে জাতিবিদ্বেষমূলক অভিযোগ দুর্ভাগ্যজনক।
নেসলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে সুইৎজ়ারল্যান্ডেরই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আইবিএফএএন। আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে নারায়ণনের দাবি, শিশুখাদ্যে কতটা চিনি থাকবে, তা পুষ্টির প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে ঠিক হয়। ভারতে এফএসএসএআইয়ের বেঁধে দেওয়া ঊর্ধ্বসীমার থেকে তা কম। আর শিশুখাদ্যের ব্যবহার করা এই চিনির বেশিরভাগটাই আসে বিভিন্ন কাঁচামাল থেকে। পৃথক ভাবে যোগ করা হয় যৎসামান্য। তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘এফএসএসএআইয়ের নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রতি ১০০ গ্রাম শিশুখাদ্যে সর্বাধিক ১৩.৬ গ্রাম চিনি থাকতে পারে। কিন্তু নেসলের খাবারে থাকে ৭.১ গ্রাম।... পুষ্টির ক্ষেত্রে আমাদের স্থানীয় কোনও মাপকাঠি নেই। ইউরোপ কিংবা অন্যান্য দেশ বা ভারতের শিশুদের মধ্যে কোনও প্রভেদও করা হয় না। কিছুটা পার্থক্য হয় স্থানীয় নিয়ন্ত্রণ বিধির ভিত্তিতে।’’