প্রতারণা রুখতে ও অনুৎপাদক সম্পদে রাশ টানতে আগাম ঝুঁকি বোঝার সতর্কীকরণ ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশ দিল নিয়ন্ত্রক ন্যাশনাল হাউসিং ব্যাঙ্ক। প্রতীকী ছবি।
প্রতারণা রুখতে ও অনুৎপাদক সম্পদে (এনবিএ) রাশ টানতে আগাম ঝুঁকি বোঝার সতর্কীকরণ ব্যবস্থা (আর্লি ওয়ার্নিং সিগন্যাল বা ইডব্লিউএস) চালুর জন্য বৃহৎ গৃহঋণ সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিল এই ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রক ন্যাশনাল হাউসিং ব্যাঙ্ক (এনএইচবি)। যাদের সম্পদ ১০০০ কোটি টাকার বেশি, তাদের ২০২৪ সালের ১ এপ্রিলের মধ্যে তা চালু করতে হবে। সেই কাঠামোর খসড়া রূপরেখাও বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে সংস্থাগুলিকে দিয়েছে এনএইচবি। বলা হয়েছে তাদের পর্ষদের বৈঠকে খসড়া পেশ করে, তার উপরে আলোচনা করে ইডব্লিউএসের চূড়ান্ত কাঠামো এবং রূপায়ণ কৌশল তৈরি করতে।
সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এনএইচবি বলেছে, গৃহঋণ সংস্থাগুলির রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে প্রতারণার কিছু কারণ ও ধরন চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিক্রেতার নিজের সম্পর্কে ভুয়ো তথ্য দেওয়া, ঋণগ্রহীতার চাকরি বা আয় সংক্রান্ত ভুয়ো নথি, নকল দলিল জমা ও ক্রেতা-বিক্রেতার যোগসাজসে ঋণদাতার সঙ্গে প্রতারণা। কিন্তু এই সবই বোঝা যায় হঠাৎ ঋণের মাসিক কিস্তি শোধ বন্ধ হলে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘‘...তাই গৃহঋণ সংস্থাগুলিকে ঝুঁকি বুঝে সতর্ক হওয়ার আগাম ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। যাতে প্রতারণা বা ঋণটি অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হওয়ার আগেই তার আঁচ মেলে।’’ এই ব্যবস্থাকে গ্রাহকের ঋণের মূল্যায়নের সঙ্গে যুক্ত করতেও বলা হয়েছে।
গৃহঋণ সংস্থাগুলিকে সতর্ক হওয়ার ইঙ্গিত হিসেবে বা ইডব্লিউএসের প্রাথমিক তালিকা দিয়েছে এনএইচবি। এতে রয়েছে যোগ্যতার সব শর্ত পূরণ না হওয়া সত্ত্বেও মঞ্জুর ঋণ, ঋণগ্রহীতার পেশা বদল, ঋণগ্রহীতা যে পেশায় যুক্ত তাতে বড়সড় টালমাটাল, ঋণদাতার গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারা ইত্যাদি। কর্পোরেট এবং প্রকল্পভিত্তিক ঋণের ক্ষেত্রেও ইডব্লিউএসের তালিকা তৈরি করেছে নিয়ন্ত্রক।